ঢাকা, বাংলাদেশ

রোববার, ভাদ্র ২৪ ১৪৩১, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

English

সাহিত্য

কবিতাপত্র-র দশম বার্ষিক পূর্তি, পর্ব-৩:

কানাইলাল জানা :

প্রকাশিত: ১০:১৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কবিতাপত্র-র দশম বার্ষিক পূর্তি, পর্ব-৩:

কবিতাপত্র-র দশম বার্ষিক পূর্তি

প্রথম পর্বে আমার লেখায় একটি সংশোধন চান অধ্যাপক ও রবীন্দ্র গবেষক অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য এই বলে যে তিনি বলেননি মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুর সময় বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ একেবারেই মায়ের কাছে ছিলেন না , প্রকৃতপক্ষে খবর পেয়ে মৃত্যুর আগের দিন তিনি শান্তিনিকেতন থেকে যখন এলেন মা বাকরহিত, তাই কোনও কথা হয়নি মা ও ছেলের মধ্যে , যেটুকু হয়েছে চোখে চোখে।

শুধু তাই নয় কবিগুরু তাঁকে অন্য বাড়িতে রাখলেন এবং মায়ের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর খবর দেন চোদ্দ বছরের ছেলেকে। এই হৃদয় বিদারক ঘটনা হয়তো গভীর রেখাপাত করেছিল রথীন্দ্রনাথের মনে। হয়তো মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন মায়ের মুখাগ্নির সুযোগ যখন পেলেন না বাবার মুখাগ্নি করবেন না। ( সত্যি তো রবীন্দ্রনাথের মুখাগ্নি নিয়ে লুকোচুরি খেলা আজও শেষ হল না। কারণ স্বয়ং সুপ্রিয় ঠাকুর তাঁর 'রবীন্দ্রনাথ' গ্রন্থে শুরুই করেছেন ৭ অগস্ট ১৯৪১ সালের ঘটনা দিয়ে: রথীন্দ্রনাথ ভিড় ঠেলে আসতে পারেন নি নিমতলা শ্মশানে, তাঁর বাবা  সুবীরেন্দ্রনাথকে আনা হল জলপথে নৌকো করে যিনি মুখাগ্নি করেন। তাহলে বোঝা যাচ্ছে জলপথে রথীন্দ্রনাথকে আনা যেত। আসলে তিনি তো  উপস্থিত  ছিলেন নিমতলায়। ) এরকম অস্বাভাবিক ঘটনা কবিগুরু আরও ঘটিয়েছেন যেমন নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার পর তাঁর লেখার সমালোচক ও নিন্দুকরা যখন কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন গেলেন অভ্যর্থনা জানাতে, তিনি তা নিতে অপারগ জানিয়ে বিদায় দিলেন।

রবীন্দ্রনাথের মতো ঋষিকল্প ও সর্বংসহা মানুষ কিভাবে এটা পারলেন ভেবে আজও অবাক হই। এই প্রসঙ্গে বরং কবি ও লেখক সসীমকুমার বাড়ৈ-র কবিতার লাইন: 'আমার কাছে হস্তারক ক্ষমার যোগ্য' -এ আমার পুরোপুরি সায় আছে। হন্তারককে  ক্ষমা করা যায় আর রবীন্দ্রনাথ পারলেন না সমালোচককে ক্ষমা করতে! সমর্থনযোগ্য নয় তাঁর মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার পদ্ধতি দেখেও । বাবার পারিবারিক তহবিল থেকে টাকা পাওয়া যাবে বলেই যথার্থ খোঁজ খবর না নিয়ে তিনি পর পর জামাই নির্বাচন করেছেন যার জন্য তাঁকে ভুগতে হয়েছে আজীবন। শিল্পীদের ৬ নং বাড়িটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে দেখেও কবিগুরু রুখে দাঁড়াননি বলে তাঁকে বিস্তর দায়ি করেছেন ঠাকুর বাড়ির একমাত্র কমিউনিস্ট সদস্য সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মনে না রাখাই ভাল সর্বকালের সেরা বাঙালি রবীন্দ্রনাথের এই ত্রুটিগুলি...

 সেদিন সমবায় সভাঘর অনুষ্ঠানের শেষ বক্তা ছিলেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক মোস্তাক আহমেদ। তিনি শুরু করেন এভাবে: অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগিয়ে থাকা  যে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বাংলা পড়ান, 'গীতাঞ্জলি' বানান লিখতে দিলে কিছু ছাত্র সঠিক লিখতে পারেন নি। কিন্তু প্রেসিডেন্সি তো কলেজ নয় যে এগিয়ে থাকবে। যাদবপুরের ক্ষেত্রেও তাই বলব। সাধারণ বিভাগের  ছাত্রদের 'পাঁচ তারা বিশ্ববিদ্যালয়' বলে চিৎকার করা মানায় না কারণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচতারা বানিয়েছে সেখানকার ইঞ্জিনিয়ারিং ,টেকনোলজি, প্রিন্টিং, ফার্মেসি, সেরামিক, পলিটেকনিক, চলচ্চিত্র শিক্ষণ ইত্যাদি বিভাগগুলি। একসময় খুব সাড়া ফেলেছিল 'তুলনামূলক সাহিত্য' প্রবর্তনের সময়। তা-ও প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত যে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে পড়াতেন তাঁর পূর্ববর্তীদের বেলায় খ্যাতির বেনোজল ঢুকে পড়ায় বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। সাধারণ বিভাগ নিয়ে বরং এগিয়ে আছে 'বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়' কারণ দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সি বলা হত যে মেদিনীপুর কলেজ তার স্বমহিমায় উপস্থিতি । যে কলেজে পড়ানোর মান আজও কিংবদন্তী। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত মেদিনীপুর কলেজের আশি ভাগ ও অন্যান্য কলেজের কুড়ি ভাগ কৃতি ছাত্র সুযোগ পান খড়্গপুর আই আই টি-র বিভিন্ন গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষায় এবং যে সুযোগগুলি সংখ্যায় যাদবপুরের থেকে অনেক বেশি। 

মোস্তাক আহমেদ এদিন উল্লেখ করেন রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভ্রমণ ও কাব্যমন নিয়ে। তিনি বলেন যত ভ্রমণ করেছেন ততই বেড়েছে কবিগুরুর মনের প্রসারতা এবং তাঁর প্রত্যেক কাজে ছিল কাব্যময় মনস্কতার ছোঁয়া। মনে হল মোস্তাক আহমেদের আরো প্রস্তুতির প্রয়োজন এই সব মূল্যবান বক্তব্য রাখার জন্য...

এবার শুরু হয় কবিতাপাঠ...। থাকবে শেষ পর্বে।
 

//এল//

মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধ-ড্রোন-রকেট হামলায় নিহত ৬

ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের নতুন নির্দেশনা

লঘুচাপ নিয়ে আবহাওয়ার সতর্কবার্তা, বন্দরে সংকেত

কেন হিন্দু কর্মকর্তাদের নামের তালিকা, জানাল পাট মন্ত্রণালয়

বিএসএমএমইউতে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ

বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, সাত দিনে ১২ জনের মৃত্যু

রবিবার থেকে অবকাশকালীন সূচিতে চলবে সুপ্রিম কোর্ট

সংস্কার চেয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘকে শিল্পীদের আল্টিমেটাম

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে হামলার হুমকি, যা জানাল বিসিবি

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে যে মন্তব্য করলেন নুর

আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ প্রবাসী ফিরবেন সন্ধ্যায়

প্রতীকী বিষপান কর্মসূচিতে ১৫ নার্সিং শিক্ষার্থী অসুস্থ 

সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না, বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ দাবিতে শাহবাগ অবরোধ