সংগৃহীত ছবি
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ স্টলভাড়া ৫০ভাগ কমানো, অতি মনোপলির উদ্দেশ্যে তৈরি প্যাভিলিয়ন পদ্ধতি বাতিল এবং সরকারের দালাল প্রকাশকদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অমর ২১শে বইমেলা ২০২৫ সফল করতে সৃজনশীল প্রকাশকদের প্রতিনিধিত্বকারী তিনটি প্রকাশক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাংলা একাডেমি মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
তারা গত ২ ডিসেম্বর সোমবার বাংলাবাজারের রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতৃবৃন্দ এক বৈঠকে উল্লেখিত দাবি বাস্তবায়নে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন সানু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ গফুর হোসেন, জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সরদার, বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি সাঈদ বারী ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সৃজনশীল প্রকাশকদের যৌক্তিক দাবি বিশেষ করে বিগত সরকারের আমলে অজ্ঞাত কারণে স্টলভাড়া শতভাগ বাড়িয়ে দেওয়ায় ৯৫ভাগ সৃজনশীল প্রকাশকদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয় তা থেকে তাদের রক্ষার জন্য ২০২৫ এর অমর বইমেলা থেকে স্টলভাড়া ৫০ ভাগ কমানোর দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালের বইমেলায় সৃজনশীল প্রকাশকগণ ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
একই সঙ্গে বইমেলাকে লুটপাটের অতি মনোপালি-ব্যবসায়িক প্রকাশনা সিন্ডিকেটের হাত থেকে পাঠক ও প্রকাশকদের বাঁচানোর জন্য প্যাভিলিয়ন পদ্ধতি বাতিল করে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আদলে পাঠক, লেখক ও প্রকাশকবান্ধব বই মেলার আহ্বান জানান তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে গড়ে ওঠা লুটপাটকারী দালাল প্রকাশকদের তালিকা হস্তান্তর করা হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তারা আওয়ামী দুর্বৃত্ত প্রকাশকদের পক্ষেই নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ সংস্কৃতি উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ সহ ন্যায্য দাবি আদায়ের সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
//এল//