ছবি সংগৃহীত
কবি ও বাংলা একাডেমির ফেলো মাকিদ হায়দার মারা গেছেন।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উত্তরার নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা চলছিল বাসায়। তিনি প্রতিদিন সকালে উঠতেন। আজ না ওঠায় তার ছেলের বউ দরজা নক করে সাড়া না পেয়ে ভেতরে গিয়ে দেখে, তার পালস নেই।
তিনি জানান, মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর দুইটা থেকে দুইটা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে মাকিদ হায়দারের মরদেহ রাখা।
পরিবার সূত্র জানিয়েছে, বাংলা একাডেমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবির মরদেহ পাবনায় নেওয়া হবে। সেখানে বিকালে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হবে।
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাবনার দোহারপাড়ায় মাকিদ হায়দারের জন্ম। তার পিতা মোহাম্মদ হাকিম উদ্দিন শেখ ও মাতা রহিমা খাতুন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক মাকিদ হায়দার গণসংযোগ ও গণমাধ্যম বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) মহাব্যবস্থাপক ছিলেন।
তার সাহিত্যচর্চার শুরু ছড়া দিয়ে। গল্প ও নাটক লিখলেও শেষ পর্যন্ত থিতু হন কাব্যচর্চায়। প্রিয় রোকোনালী তার কবিতার বিশেষ চরিত্র।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ 'রোদে ভিজে বাড়ি ফেরা', 'আপন আঁধারে একদিন', 'ও প্রার্থ ও প্রতিম', 'কফিনের লোকটি', 'প্রিয় রোকোনালী', 'মুমুর সাথে সারা দুপুর', 'অদৃশ্য মুখগুলো', 'যে আমাকে দুঃখ দিলো সে যেন আজ সুখেই থাকে', 'পাকশী লোকাল এক্সপ্রেস' প্রভৃতি। গল্পগ্রন্থ 'বিপরীতে অন্য কেউ' এবং 'মাকিদ হায়দারের গল্প'। গবেষণাগ্রন্থ 'রবীন্দ্রনাথ: নদীগুলো'।
ইউ