সংগৃহীত ছবি
ভারতের মানবাধিকারবিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ ও পুঁজিবাদ সম্পর্কে লিখেছেন অরুন্ধতী রায়। এ বছর বুকারজয়ী ভারতীয় এই লেখক ‘পেন পিন্টার প্রাইজ’ জিতেছেন।
ভারতের কর্মকর্তারা অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ১৪ বছর আগে দেওয়া বক্তৃতার রেশ টেনে ইউএপিএ বা সন্ত্রাস দমন আইনে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার অনুমতি দেওয়ার ১০ দিন পরেই তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। ষাটোর্ধ্ব এই লেখিকা জানিয়েছেন, এ পুরস্কার পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।
নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টারের স্মরণে ‘পেন পিন্টার প্রাইজ।’ যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও কমনওয়েলথের লেখকদের মধ্যে অসামান্য সাহিত্যিক কাজের পুরস্কার হিসেবে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
‘ইংলিশ পেন’ নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ২০০৯ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তন করে। ইংলিশ পেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাহিত্য নিয়ে কাজ করে।
ব্রিটিশ লাইব্রেরি আয়োজিত অনুষ্ঠানে আগামী ১০ অক্টোবর অরুন্ধতী পেন পিন্টার প্রাইজ গ্রহণ করবেন। এর আগে মাইকেল রোজেন, ম্যালোরি ব্ল্যাকম্যান, মার্গারেট অ্যাটউড, সালমান রুশদি, টম স্টপার্ড ও ক্যারল অ্যান ডাফি এ পুরস্কার জিতেছেন।
প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ‘বিশ্ব যে দুর্বোধ্য দিকে মোড় নিচ্ছে, তা নিয়ে লেখার জন্য হ্যারল্ড পিন্টার আমাদের সঙ্গে থাকলে ভালো হতো। কিন্তু তিনি যেহেতু নেই, আমাদের কাউকে তাঁর সেই শূন্যতা পূরণ করতে হবে।’
অরুন্ধতী রায় অনেক বই ও নন-ফিকশন প্রবন্ধ লিখেছেন। তবে তিনি তার উপন্যাস গড অব স্মল থিংস-এর জন্য বেশি পরিচিত। ১৯৯৭ সালে বইটির জন্য তিনি বুকার পুরস্কার জেতেন।
উল্লেখ্য, ভারতের বিতর্কিত বিষয় কাশ্মীর নিয়ে ২০১০ সালে মন্তব্য করেছিলেন লেখক ও মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়। তার সেই মন্তব্যের কারণের ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চাইছে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা সন্ত্রাস দমন আইনে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা। সেই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তাকে প্রায়ই বক্তৃতা এবং লেখার জন্য ডানপন্থী গোষ্ঠীর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হতে হয়েছে। মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করা নিয়ে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন অরুন্ধতী রায়। এ ছাড়া মোদি সরকারের আমলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হওয়া নিয়েও তিনি সর্বদাই সোচ্চার।
//এল//