সংগৃহীত ছবি
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ যে শারীরিক সমস্যায় ভোগেন সেটি হলো হৃদরোগ। নিমেষে একটি প্রাণ শেষ হয়ে যেতে পারে এতে। কিন্তু হৃদরোগ কি হঠাৎ করে হয়? আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করলে কি অকাল মৃত্যু আটকানো যায়? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, স্থূলতা অবশ্যই হৃদরোগের অন্যতম কারণ হতে পারে কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৫০ শতাংশ LDL - C উচ্চমাত্রায় থাকলেও ৬০ শতাংশ মানুষের স্থূলতার সমস্যা ছিল না।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার একটি বড় কারণ হলো খারাপ কোলেস্টেরল। নির্দিষ্ট সময় পর পর কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমতে পারে। কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য অনেকটাই উন্নত থাকে।
হার্ট সুস্থ রাখার জন্য জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। কী সেগুলো? চলুন জেনে নিই-
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন কম স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত সুষম খাবার। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে মোট ১৫০ মিনিট মাঝারি অ্যারোবিক ব্যায়াম করুন। এতে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকবে।
ওষুধ
জীবনধারা পরিবর্তন যদি একেবারেই করা সম্ভব না হয় তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ওষুধের শরণাপন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নজর দিন অন্যান্য শারীরিক সমস্যার দিকেও
হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাগুলোর উপর নজর দিতে হবে। এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টও সুস্থ থাকবে।
নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল স্ক্রিনিং
নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর লিপিড প্রোফাইল ক্লিনিং করুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক আছে কিনা।
LDL- C সম্পর্কে অবগত থাকা
বয়স, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের কথা বিচার করার পর LDL- C এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা তা দেখুন। এটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।
//এল//