সংগৃহীত ছবি
পাহাড় আর সমুদ্র। এই দুইয়ের সম্পর্ক যেন ফুটবলের ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার মতো। দুই দলেরই ব্যাপক ভক্ত আছে আর দুটোই নিজ জায়গায় সেরা। ভ্রমণপিপাসুদের প্রায়ই একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেন? পাহাড় নাকি সমুদ্রকে?
কারো কাছে ভালো লাগে পাহাড়। সবুজে ঘেরা চারপাশের প্রকৃতি আর মেঘের ভেলায় হারিয়ে যেতেই আনন্দ পান তারা। আবার কারোর ভালো লাগে বিশাল জলরাশির সমুদ্র। বালুর ওপর বসে সমুদ্রের গর্জন শুনলেই যেন মন শান্তিতে ভরে যায়।
কিন্তু পাহাড় আর সমুদ্রের মধ্যে কোনটিতে গেলে মন বেশি ভালো হয়? স্বাস্থ্যের জন্যই বা কোনটি ভালো? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক থিউরিতেই রয়েছে এর উত্তর। বলছিলাম ব্লু মাইন্ড থিওরি’র কথা।
ব্লু মাইন্ড থিওরি কী?
২০১৫ সালে বিজ্ঞানী ওয়ালেস জে নিকোলস এই তত্ত্বটি দেন। তিনি পরীক্ষা করে দেখান, কোন পরিস্থিতি মনের জন্য স্বস্তিদায়ক, কোন পরিস্থিতিতে মানুষের মানসিক চাপ সবচেয়ে কম বোধ হয়। এই তত্ত্বটিই ব্লু মাইন্ড থিওরি নামে পরিচিত।
এই থিউরি অনুযায়ী, সমুদ্রের কাছে গেলেই মানুষের মন সবচেয়ে ভালো হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এখানেই শেষ নয়। মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এটি। কিন্তু পানির কাছাকাছি গেলে কেন এমনটা হয়?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পানি দেখা এবং পানির শব্দ শোনা— এই দুটোই মস্তিষ্কে দারুণ প্রভাব ফেলে। এতে মস্তিষ্ক শান্ত হয়। মনে প্রশান্তি মেলে। মাথা পরিষ্কার হয়। অর্থাৎ, ব্লু মাইন্ড থিওরি মতে, পাহাড়ের চাইতে সমুদ্রের কাছে গেলে মানুষের মন বেশি ভালো হয়।
তবে পাহাড়ে গেলেও মন ভালো হতে পারে। একেকজনের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেক রকম। কিন্তু সামগ্রিকভাবে পানির রঙ আর শব্দ মানুষের মনে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কেবল সমুদ্র নয়, নদী, সরোবর, ঝর্ণা এমনকী সুইমিং পুলের কাছে গেলেও এই ধরনের মন ভালো করা অনুভূতি হতে পারে বলে মনে করেন অনেক মনোবিদই। সমুদ্রের পানি সাধারণত নীল হয়, সেখান থেকেই ‘ব্লু মাইন্ড থিওরি’ কথাটির উৎপত্তি।
//এল//