ফাইল ছবি
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগে একটি আইন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি দুই সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরবর্তী বিচারপতি এই আইনে নিয়োগ হবে। একই সঙ্গে তিনি জানান, পরীক্ষার মাধ্যমে পিপি, এপিপি নিয়োগ করতে একটি আইন এ বছরের মধ্যেই করা হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এসময় আইন উপদেষ্টা জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট সংশোধন করে বিচারের যৌক্তিকতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এটি অনুমোদিত হবে। ভেটিংয়ের পাশাপাশি কিছু নতুন আইন হবে।
রাজনৈতিক দলের বিচারের ক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করতে পারে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের বিচারের ক্ষেত্রে যে অধ্যাদেশ করা হবে তার প্রস্তাবনায় আছে- আদালত যদি মনে করে, তাহলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কাছে সুপারিশ করতে পারে। তবে এ নিয়ে এখনও কিছু হয়নি, উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে দেশে ঢালাও মামলার অভিযোগ বেশ পুরনো। সাধারণ মানুষ থেকে সাংবাদিক কেউ বাদ যাচ্ছেন না এই বিড়ম্বনা থেকে। বাধ্য হয়ে অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভুগছেন সীমাহীন হয়রানিতে।
এমন হয়রানির যারা শিকার হয়েছেন তাদের জন্য সুখবর দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। বলেছেন, ঢালাও মামলায় অহেতুক যারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তারা এ থেকে প্রতিকার পাবেন। এসপি, জেল সুপার, লিগ্যাল অফিসার নিয়ে একটি কমিটির সুপারিশ করা হবে। এমনকি যারা হয়রানিমূলক মামলা করছে তাদেরও বিচার হবে।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে প্রায় সব মামলা বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে সব হয়রানিমূলক মামলা রহিত হবে।
এছাড়া গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে তদন্ত কমিটির সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
সম্প্রতি আন্দোলনের নগরীতে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ ঘণ্টা মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়। এতে আহত হয় নারী, শিশুসহ বেশ কয়েকজন।
এই প্রসঙ্গ টেনে আসিফ নজরুল বলেন, আন্দোলনের নামে অনেকেই জনদুর্ভোগ তৈরি করছে। রাতারাতি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করতে বলছে। আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, অনেকে সরকারকে পেয়ে বসেছে। কিন্তু প্রয়োজনে এসব বিষয় সরকার কঠোর হবে।
ইউ