ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, কার্তিক ২ ১৪৩১, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

English

আইন আদালত

জামিনে বের হলেন সেই পাপিয়া

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২৪ জুন ২০২৪

জামিনে বের হলেন সেই পাপিয়া

সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর অবশেষে জামিনে বের হলেন শামীমা নূর পাপিয়া। সোমবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় জামিনে বের হন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত এ নেত্রী। তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন।

জেল সুপার জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় পাপিয়া জামিনে বের হন। তার জামিনের সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারামুক্ত করা হয়েছে তাকে।

এর আগে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন যুব মহিলা লীগের বিতর্কিত এ নেত্রী। সেখানে এক নারী বন্দির ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপরই ২০২৩ সালের ৩ জুলাই শামীমা নূর পাপিয়াকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন এবং অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার এবং ৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন।

চার্জশিটে বলা হয়, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান। এই টাকার কথা কেউ যাতে জানতে না পারে, সেজন্য তা ব্যাংকে না রেখে বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। বাসায় এত টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান এবং এই অবৈধ টাকা পরবর্তীতে খরচ করেন। এর মধ্যে হোটেল ভাড়া দেন তিন কোটি টাকার বেশি। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হন পাপিয়া। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশাল অঙ্কের হোটেল বিল পরিশোধ করতে গিয়ে গোয়েন্দাদের নজরে পড়েন তিনি। এরপর একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে তার সব অপকর্মের কাহিনী। মূলত, পাঁচ তারকা হোটেলে নারী ও মাদক ব্যবসাই ছিল পাপিয়ার আয়ের প্রধান উৎস। দেশের অভিজাত কিছু মানুষ ও বিদেশিরাই ছিল তার গ্রাহক। ইন্টারনেটে স্কট সার্ভিস খুলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষিত সুন্দরী তরুণীদের সংগ্রহ করে খদ্দেরদের কাছে পাঠাতেন পাপিয়া। পাপিয়ার সব কর্মকাণ্ডের অন্যতম অংশীদার ছিলেন তার স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন। নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সুমন এক সময় নরসিংদীর প্রয়াত পৌর মেয়র লোকমানের বডিগার্ড ছিলেন।
 

//এল//

রুপালি গিটার ফেলে চলে যাওয়ার ছয় বছর

স্বর্ণের দামে বিশ্ব রেকর্ড, বাড়তে পারে দেশেও

শেখ পরিবারের যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কমনওয়েলথ সম্মেলনে যাচ্ছেন না ড. ইউনূস

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’, আঘাত হানতে পারে যেখানে

নির্বাচন কবে হবে জানালেন আইন উপদেষ্টা

ডিমের পর এবার মুরগির বাজারে অস্বস্তি

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই

স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যমসহ আরও ৪ কমিশন গঠন

সাকিবকে দেশে ফিরতে সরকার নিষেধ করেনি: রিজওয়ানা হাসান

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৫ জনের

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৫ জনের

দাবিতেই সীমাবদ্ধ সিলেটের চা শ্রমিকদের জীবন 

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে অন্তিম শয়নে ‘অগ্নিকন্যা’

সালমান খানকে হত্যার জন্য ২৫ লাখ রুপিতে চুক্তি