ফাইল ছবি
মমিনুর রশীদ মিল্লাত একাধিক নাট্যকার ও নাট্যপরিচালক। যার নাটক দেখেনি এমন লোক পাওয়া বিরল। নামটা শুনলেই একবাক্যে যাকে স্মরণ করিয়ে দেয় প্যাকেজের প্রথম দিকে বিটিভি, চ্যানেল আই, ১০০ পর্বের ধারাবাহিক নাটক প্রচার একটা বিরল ঘটনা। সে দিনের নাট্যকার নাট্যপরিচালক মানেই মমিনুর রশীদ মিল্লাত। কাহিনীকে এমনভাবে সজীব ও প্রাণবন্ত করে তুলেন যে নাটক দেখতে দেখতে কোথায় যেন হারিয়ে যায় দর্শক। এক সময়ের প্রখ্যাত নাট্যকার ও নাট্যপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রধান সহকারী পরিচালক ছিলেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন মারা যাবার পর তিনি নিজেই নাটক রচনা ও নির্মাণে মনোযোগী হন। নাট্যপরিচালনা, রচনা ও র্নিমাণে তিনি সিদ্ধহস্ত। নাটক রচনা ও পরিচালনায় যেন তাঁর ধ্যান, জ্ঞান। বর্তমান সময়ে এমন একজন গুণী মানুষকে পাওয়া ভার। হঠাৎ করে তাঁর সাথে দেখা এবং একটি সাক্ষাৎকার নিতে বলতেই তিনি রাজী হয়ে যান। বর্তমান সময়ের নাটক ও পরিবেশ পরিস্থিতির বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তার সাথে আলোচনা হয়। আমরা জানি,তার মহামূল্য বাণ বাঙালির জাতির জীবনের ইতিহাস গাঁথা ৬০ মিনিটের একটি ” প্রামাণ্যচিত্র’ নির্মাণ করেন। যে বাঙালি জীবনে প্রথম জাগরণ,দ্বিতীয় জাগরণ, তৃতীয় জাগরণ সংগঠিত। এই সব বিষয় নিয়েই ”একুশ শতকে বাংলাদেশ” শুধু বাংলাদেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত।“একুশ শতকে বাংলাদেশ” নামে প্রামান্যচিত্রটি আজ বাংলাদেশে এক অভাবনীয় একটি বিষয়। তাই তাঁর সাক্ষাৎকারটি মূলতঃ ” একুশ শতকে বাংলাদেশ” নিয়েই।
প্রশ্ন: অনেক দিন পর দেখা। আপনি কেমন আছেন ?
উত্তর; জ্বী ভাই, আমি ভালো আছি।
প্রশ্ন: আপনার নাটকের কি খবর বলেন ?
উত্তর: নাটক আপাতত পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য স্থগিত রেখেছি। আর যেহেতু দীর্ঘ ২টি বছর করোনা আমাদের সবাইকে গ্রাস করেছিল। সে জন্য নাটক নিয়ে বেশি চিন্তা করিনি। তবে লেখা বন্ধ হয়নি,এখন আবার চিন্তা করছি আগামী জানুয়ারি থেকে আরম্ভ করবো। সিরাজুর আলম খান-এর ” স্বাধীনতা-সশস্ত্র সংগ্রাম এবং আগামীর বাংলাদেশ” গ্রন্থ অবলম্বনে ”আগামীর বাংলাদেশ” নামে একটি চিত্রনাট্য তৈরী করে রেখেছি।” আগামীর বাংলাদেশ” চিত্রনাট্যের স্যুটিং-এর কাজ প্রথম আরাম্ব করবো বলে ভাবছি।
প্রশ্ন: আগামীর বাংলাদেশ। নামটি তো বেশ সুন্দর। এই প্রামাণ্যচিত্রটিতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন ?
উত্তর: অতিতের পাক-ভারত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সর্ম্পকে যদি ধারণা না থাকে তাহলে বাংলাদেশের ভবিষৎ র্নিমাণ করবেন কি ভাবে। এবং পাক-ভারতে ”প্রথম ধারার রাজনীতি” কি ভাবে বিকশিত হলো,শুনুন তাহলে যেমন ধরুণ ব্রিটিশ আধুনিক রাজনীতির উদারনৈতিক সমাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে”প্রথম ধারার রাজনীতির” দু’টি রাজনৈতিকের শাখা জম্ম দিয়ে বিকশিত করেন। একটি শাখা হলো পুজিঁবাদ ভিত্তিক” র্পালামেন্টারি গণতন্ত্র” অপরটি হলো পুজিঁবাদ বিরোধী” ক্লাসিক্যাল সমাজতন্ত্র”। দু’টি শাখার নেতৃত্বে ছিলেন যারাঃ- তাঁরা হলেন মহাত্মা গান্ধী,জরহরলাল নেহেরু, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ,গাফফার খাঁন,সর্দার বল্লব ভাই প্যাটেল, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ,লিয়াকত আলী খান,শরৎ বসু, কিরণ শংকর রায়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে তৈরী হয় পাক-ভারতের বাংলা অঞ্চলে ”দ্বিতীয় ধারার রাজনীতি”। ”দ্বিতীয় ধারার রাজনীতি’র আলোকে স্বাধীনতার জন্য তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে সিরাজুল আলম খান,আবদুর রাজ্জাক,কাজী আরেফ ১৯৬২ সালে তৈরী করেন গোপন সংগঠন ” নিউক্লিয়াস”। ”প্রথম ধারার রাজনীতি’র আলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর ”দ্বিতীয় ধারার রাজনীতি” নিয়ে সিরাজুল আলম খান-এর সমন্বয়ে মুক্তিযোদ্ধের মধ্য দিয়ে আজকের বাংলাদেশ। এসব বিষয় নিয়ে আমি চিত্রনাট্য তৈরী করেছি।
প্রশ্ন: বেশ ভালো আমরা অনেক কিছুই জানতে পারবো”আগামীর বাংলাদেশ” থেকে। তাহলে ’একুশ শতকে বাংলাদেশ” প্রামাণ্যচিত্রটি করার আপনার কি উদ্দেশ্য ছিল, কোন আঙ্গিকে এবং কাকে নিয়ে এতো সুন্দর একটি প্রামাণ্যচিত্রটি র্নিমাণ করছেন। কি ভাবে তৈরী করলেন ?
উত্তর: ভালো কথা বলেছেন। জনাব সিরাজুল আলম খান একদিন আমাকে বললেন যে, তোমাকে একটি ইতিহাস ভিত্তি¡ক ঐতিহ্যবাহী বাঙালি জাতিসত্ত¡ার উপর একটি প্রমাণ্যচিত্র নির্মাণ করতে হবে। আমি বিষয়টি না বুঝেই রাজি হয়ে গেলাম,দাদা আমার বায়োডাটা নিয়ে চলে গেলেন লন্ডন। আমাকে বলে গেলেন তুমি রেডি থাকো আমি তাড়াতাড়ি ঢাকা ফিরবো। দাদা দীর্ঘ ০৬ মাস পর লন্ডন থেকে ফিরে এসে আমাকে “একুশ শতকে বাঙালি” নামের বইটি হাতে তুলে দিয়ে বললেন, এটার একটা চিত্রনাট্য তৈরী কর। বইটি পড়তে গিয়ে কিছু কিছু জায়গায় একটু সমস্যা হচ্ছিলো। তাই ভাবলাম বইটি আমাকে ভালো করে পড়ে বুঝতে হলে অন্য বইয়ের সহযোগীতা নিতে হবে। তাই চলে গেলাম বিশ^সাহিত্য কেন্দ্র এবং পাবলিক লাইব্রেরিতে। বিভিন্ন বই সংগ্রহ করে পড়তে লাগলাম।আমাকে জানতে হবে সেই সময়ের ইতিহাস বা সেই সময়ের ঘটনাবলি। তাই আমি প্রচুর বই সংগ্রহ করতে থাকি। যদিও এই বইটিতেই ইতিহাস পরি- পূর্ণভাবে রয়েছে। তাও আমি অনেকগুলো বই ঘেটে সিরাজুল আলম খানের বইটি নিয়ে চিত্রনাট্য তৈরী করতে বসি এবং ধারাবাহিক ভাবে সাজিয়ে একটা খসড়া দাঁড় করিয়ে,গেলাম সিরাজুল আলম খান দাদার কাছে,চিত্রনাট্যটি দেখে তিনি পছন্দ করেন এবং বলেন, এখন সুটিং এ চলে যেতে পারো। তখন তিনি আমাকে নিয়ে গেলেন ফিরোজ হান্নান, যিনি স্ট্যাম্পফোর্ডের মালিকের কাছে। তাকে প্রথম প্রডিউসার বানিয়ে আমাকে দিয়ে নির্মাণ করালেন ২৬ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র” রূপান্তর বাংলাদেশ।” রূপান্তর বাংলাদেশ’ সবারই ভালো লাগল। এরপর আমি“একুশ শতক বাংলাদেশ” নামে প্রমাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করি ৪০ মিনিটের। তৈরী করার পরও আমার মনমতো হচ্ছিলো না বলে আরও কিছু তথ্যের সংমিশ্রণে এনিমেশন গ্রাফিক্স-এর মধ্য দিয়ে সরাসরি সিরাজুল আলম খান-এর সহযোগীতায় নির্মাণ করি ৬০ মিনিটের “একুশ শতকের বাংলাদেশ” আমার জানামতে এটাই প্রথম এবং বাংলাদেশের একটা ঐতিহাসিক দালিলিক হিসাবে প্রমাণিত একটি প্রামাণ্যচিত্র। যেখানে রাজা ধনোনন্দো থেকে আরম্ভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যন্ত এবং পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত একেকজন প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন ধারাবাহিক তুলে এনেছি। আর ঐদিকে অশোকের রাজত্ব,পাল বংশ, সেন বংশ, সুলতানি আমল, মোঘল আমল, ইংরেজ আমল,পাকিস্তানি আমল ধারাবাহিকতায় তুলে ধরি। জনপথ থেকে একটা পূর্ণাঙ্গ রূপ নিল প্রামাণ্যচিত্রে। সুলতালি আমল,ইলিয়াশ হুসেন শাহ্-এর আমল-এ বাংলা ভাষা রাজকীয় ভাষায় পরিণত করেছে। এই সব নিয়েই আমার “একুশ শতকে বাংলাদেশ”।
প্রশ্ন: আর একটি প্রশ্ন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আগের যে কালিকুলাম মানে প্রস্তুতি সেটা”একুশ শতকে বাংলাদেশ”-এ আছে কি ?
উত্তর: থাকবে না কেন,অবশ্যই আছে। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধের নয় বছর আগে”দ্বিতীয় ধারার রাজনীতির”আলোকেই ১৯৬২ সালে সিরাজুল আলম খান একটি ”নিউক্লিয়াস”নামে গোপন সংগঠন তৈরী করেন। ”দ্বিতীয় ধারার রাজনীতির”প্ল্যাটফর্ম যেভাবে রাস বিহারী বসু, নেতাজী সুভস বসু তৈরী করেছিলেন”আজাদ হিন্দ ফৌজ” নামে একটি সংগঠন।”দ্বিতীয় ধারার রাজনীতির আলোকে তৈরী করা হয় গোপন সংগঠন ”যুগান্তর”। সেই গোপন সংগঠনের কর্মকান্ড করতে গিয়ে প্রাণ দেন ক্ষদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাঁকী,সূর্যসেন মাস্টার দা, প্রীতিলতা ওয়েববাদার। এই গোপন সংগঠন ”নিউক্লিয়াস” মধ্য দিয়েই গড়ে উঠে, বিএলএফ,জয়বাংলা বাহিনী,স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। গোপন সংগঠন”নিউক্লিয়াস”-এর মাধ্যমে গঠন করা হয় বিভিন্ন ব্রিগেড যেমনঃ-ছাত্র-ব্রিগেড,যুব-ব্রিগেড, নারী-ব্রিগেড,শ্রমিক-ব্রিগেড,কৃষক-ব্রিগেড।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা বলবেন কি?
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মজিব বাহীনিতে যে সিরাজুল আলম খান-এর যে ভ‚মিকা ছিল তা মনে রাখার মত। সিরাজুল আলম খান, ফজলুল হক মণি, তোফায়েল আহম্মেদ, আবদুর রাজ্জাক ওনারা ছিলেন মুজিব বাহিনীতে এবং মুজিব বাহিনীর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে মুজিব বাহিনীকে কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীও সাপোর্ট করেছিলেন এমনকি র্সব-প্রথম লিখিত ভাবে অনুমদন দেন।মুজিব বাহিনী কিন্তু প্রবাসী সরকার গঠন করার সময় অনেক ভুমিকা রেখেছিলেন। সিরাজুল আলম খানের প্রভাব ছিল অনেক চোখে পড়ার মতো। তাজউদ্দিন আহমেদ-এর বিরোধী কিছু লোক ছিলো, তখন সিরাজুল আলম খান ও ফজলুল হক মনি উনারা সম্মিলিতভাবে সাপোর্ট করে প্রবাসী সরকার গঠন করার। এভাবে মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হয় এবং আর একটা বিষয় ১১ সেক্টর কমান্ডারের প্রধান জেনারেল আতাউল হক ওসমানী। এটাও কিন্তু নিউক্লিয়াসের সর্মথনে। নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে সেই সময় জাতীয় পতাকা নির্ধারণ করা এবং ২ মার্চ আ,স,ম আবদুর রবকে দিয়ে উত্তলন করানো হয়েছিল। নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে ৩ মার্চ ইশতেহার পাঠ করনোা হয়েছিলো,শাহজাহান সিরাজকে দিয়ে। জয় বাংলা ধ্বনি হয়েছে নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে এবং সিরাজুল আলম খানই প্রথম জয়বাংলা শ্লোগান প্রতিষ্ঠিত করেন মানে জয়বাংলা শ্লোগান প্রথমে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু’র উপস্থিতিতে। তারপর জয়বাংলা শ্লোগানকে কিন্তু আওয়ায়ী লীগের অনেক নেতাই পছন্দ করেন নি একমাত্র বঙ্গবন্ধু ব্যতিত। বঙ্গবন্ধু যে দিন বাংলাদেশের নামকরণ করেন সেদিন সিরাজুল আলম খান,আব্দুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধুর বাসায় যান। যাওয়ার পর বেগম মুজিব এসে বললেন তোমারদের একটু বসতে হবে, লিডার কাপড় পরছে বাইরে যাবে। বেগম মুজব বললেন তোমরা দেশের নাম ঠিক করেছো ? সিরাজুল আলম খান তখন বললেন ঠিক করেছি যদি লিডার পছন্দ না করেন। এমন সময় বঙ্গবন্ধু এসে”বাংলাদেশের” নামটি বলতেই সবাই অবাক হয়ে বললেন যে আমরাও তো এই নামটি বলতে চেয়েছি আপনার কাছেও সেই নাম। বঙ্গবন্ধু নামকরণ করেন “বাংলাদেশ”। সবাই আনন্দিত হয়ে গেছে যে আমাদের মনের মধ্যে যে চিন্তাটা লুক্কায়িত ছিল সেটা মিলে গেছে। তাতে বুঝা যায় বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় ধারার রাজনীতিটাও পছন্দ করতেন।
প্রশ্ন: একুশ শতকের বাংলাদেশ নামে যে চিত্রনাট্যটা করে আপনি কি সার্থক? আপনি কি এতে খুশি?
উত্তর: অবশ্যই খুশি, অবশ্যই। আর একটি কারণে খুশি যে, আমি বাঙালি জাতিসত্ত¡াকে নিয়ে তিন হাজারের বছরের গেথে কাজ করার সুভাগ্য হয়েছে। কয়জনে পারে এমন কাজ করতে, সিরাজুল আলম খান আমাকে বলতো পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতি নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র আছে ৫০টির মতো। তার মধ্যে ”একুশ শতকে বাংলাদেশ”পৃথিবীতে ৫ নাম্বারে অবস্থান করছে। কথা গুল শুনে আরও ভালো লাগতো। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র সিরাজুল আলম খান সাহেবের জন্য। ওনার যে এক্টিভিটিজ, ওনার যে মেধা আর কারিশমা ওনাকে দেখে সত্যি আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। স্বাধীনতার পর একজনের পর একজন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, কিন্তু স্বাধীন দেশের কাঠামো পরিবর্তন করার জন্যে ১৯৭২ সালে ১৪ দফা আকারে সিরাজুল আলম খান - বঙ্গবন্ধু’র হাতে তুলে দিয়ে বলেন, এই ১৪ দফা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী লিডার আপনি এটা করে ফেলুন।বঙ্গবন্ধু হাতে নিয়ে রেখে দেন এবং কয়েকদিন সিরাজুল আলম খানকে জানিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘সিরাজ আমি তর ১৪ দফা করতে পারছিনারে। এদের সাথে আমি পারছি না’। বঙ্গবন্ধু’র ইচ্ছা ছিল কুলিয়ে উঠতে পারেননি এইসব চাটুকার আর টাউট বাটবারদের জন্য।
প্রশ্ন: আমরা কি আবার ঐ পথে যাচ্ছি?
উত্তর: এতোদিনের ধারণা থেকে বলতে পারি যে আমরা কিন্তু ঐ পথের দিকেই যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত জাতীয় সরকার হতে পারে।
ইউ