ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, অগ্রহায়ণ ৬ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪

English

সাক্ষাৎকার

সিলেবাসে কর্মমূখী শিক্ষা অন্তর্ভূক্ত করতে হবে: আবু নাঈম সরকার

প্রকাশিত: ০০:০০, ১৯ জুন ২০২২; আপডেট: ১০:২৮, ৪ আগস্ট ২০২২

সিলেবাসে কর্মমূখী শিক্ষা অন্তর্ভূক্ত করতে হবে: আবু নাঈম সরকার

শিক্ষক -এস এম আবু নাঈম সরকার

বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন-শিক্ষক এস এম আবু নাঈম সরকার। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে ক্যামব্রিজ থেকে সার্টিফিকেট ইন ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচিং ফর এডাল্ট  Celta (সেল্টা) সার্টিফাইড ট্রেইনার আইইএলটিএস ব্যান্ড ৯ স্কোর প্রাপ্ত। বর্তমানে তিনি তাইইউয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজী (চায়না) তে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে ক্লাস নিচ্ছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান SMANS School of English-এ আইএলটিএস-এর ক্লাস নিচ্ছেন। সম্প্রতি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘উইমেনআই ২৪ডটকম’ এর সাথে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাতকার নিয়েছেন- ফাহমিনা তন্বি

উইমেনআই২৪ডটকম: বাংলাদেশে ইংরেজী সাহিত্যে গবেষণা সম্পর্কে বলুুন?

এস এম আবু নাঈম সরকার : বাংলাদেশে ইংরেজি ভাষা সাহ্যিত্যের গবেষণা কিছুটা হয়। এইটা সাধারণত ক্ল্যাসিক্যাল লিটেরেচার বা আদার লিটেরেচারের সাথে খুবই জড়িত।  শেক্সপিয়ার বা তার পরবর্তী বা  তারও আগে মর্ডান লিটেরেচার এর রিসার্চ খুব একটা দেখা যায় না। অর্থাৎ টুয়েন্টি ফার্স্ট সেনচুরির লেখকদের নিয়ে লেখা  খুব একটা গবেষণা হয় না। ইংরেজী সাহিত্যে ইংলিশ লেখক, আমেরিকান লেখকদের আধিপত্য বেশি আছে। কিন্তু উপমহাদেশের ভারত,পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা নেপালের যে ইংরেজীতে যে সাহিত্য আছে ,তা নিয়ে গবেষণা করা উচিত। কারণ তারা জানুক যে, আমাদের গবেষকদের, লেখকদের চিন্তা কী? এমনকি আমাদের নন্দিত সাহিত্যিক হুমায়ন আহমেদের যে লেখা আছে। তার লেখাগুলোর ও ইংরেজি সাহিত্যে গবেষণা হতে পারে। জসীমউদ্দিন, কাজী নজরুল ইসলাম তাদের লেখাগুলো নিয়েও গবেষণা করা দরকার। তাহলে যথেষ্ট উন্নয়ন হবে বলে আমার মনে হয়।

উইমেনআই২৪ডটকম: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করছে। সেক্ষেত্রে জাতীয়  বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য সামঞ্জসপূর্ণ কী?

এস এম আবু নাঈম সরকার : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সিলেবাস প্রায় কাছাকাছি। কিন্তু আমি মনে করি যে, ইংরেজি যে সিলেবাসটা আছে, সেটা ইংরেজি ভাষা শেখার এবং ইংরেজির দক্ষতা অর্জনের জন্য উপযোগী  না। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র ছাত্রীকে আইইএলটিএস পড়িয়েছি। তাদের অভিযোগ রয়েছে, তারা বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নের সাজেশন অনুসরন করে মুখস্তবিদ্যা দিয়ে পাস করে যায়। এভাবেই তারা পাশ করে যাচ্ছে। কিন্তু সিলেবাস ভাষা শিক্ষার জন্য কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ এইটা যদি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যদি আইইএলটিএস এর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ভাষা যাচাইয়ের পরীক্ষা দেয় এখানে কয়জন আইইএলটিএস এ ৬ পাবে বা ৭ পাবে সেটা দেখার বিষয়। ইংরেজী ভাষায় সে দক্ষ হয়েছে কিনা? সাহিত্যের একটা আধিপত্য পড়ালেখায় থাকাতে ভাষায় দক্ষতা কমে যায় এর কারণ মুখস্ত নির্ভরতা। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এই যে সিলেবাস এটাকে যুগোপযোগী করার জন্য লিসিনিং,রাইটিং, স্পিকিং ও  রিডিং এই চারটা বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা উচিত।

 

উইমেনআই২৪ডটকম: আমরা যতদূর জানি, অনার্স করতে আসে শিক্ষার্থীরা এসএসসি, এইচএসসি তে বেসিক ইংরেজি শিখে ইংরেজি সাহিত্যে পড়তে এসেও হিমশিম খাচ্ছে। আবার অনেকেই আশানুরূপ ফলাফল করতে পারছে না, এর পেছনের কারণ কী বলে আপনার মনে হয় ?

এস এম আবু নাঈম সরকার : প্রথমত এস.এস.সি ও এইচ এস সির পরে যখন ইংরেজিতে অনার্সে ভর্তি হয়। সেক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি এর মার্কসটাকে দেখা হয়। কিন্তু যখন ইংরেজি তে অনার্স বা মাস্টার্সে ভর্তি হয়। তখন ৯৯% শিক্ষার্থী ইংরেজি ভাষাতে দক্ষ হওয়ার জন্য ভর্তি হয়, কিন্তু এখানে ভাষা গুরুত্ব পায় না । সে এখানে যেটা পড়ে সেটা হচ্ছে সাহিত্য। আর সাহিত্যে অনেক পুরাতন ইংরেজি পড়ানো হয়। অনেকেই মুখস্ত করে লিখে। যার কারণে ভাষায় যে দক্ষতা  অর্জন করার কথা সেটা থাকে না । এখানে রামজি লাল, সেন,ক্লিপ্স নোটস বা মাংকি নোটস বা ই-নোট, এই নোটস গুলো মুখস্ত করে লিখে পরীক্ষা দিয়ে দেয়।যার কারণে মূল্যায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে যে সে নিজে ইংরেজিতে কতটা দক্ষ? আর আমাদের দেশে একটা প্রবণতা আছে যে খাতায় বেশি লিখা থাকলে মার্কস দেয় বেশি।
ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সের সিলেবাসে ফনেটিক্স সাবজেক্ট এর সঙ্গে ফোনলজি, মোরফলজি যোগ করা উচিত। অন্য দিকে চিন্তা করলে ইংরেজি আমাদের কী কাজে লাগে ? এ্যাপ্লিকেশন কী ? ইংরেজি সাহিত্যের খুব বেশি একটা বাস্তব জীবনে এ্যাপ্লিকেশন নেই। কিন্তু ইংরেজি ভাষার কিন্তু এ্যাপ্লিকেশন আছে। একটা ছাত্র যখন পাস করে বের হয়। তখন সে যখন চাকরি করে, সেখানে ইংরেজি সাহিত্যের কোন এ্যাপ্লিকেশন চাওয়া হয় না। চাওয়া হয় ইংরেজি ভাষার দক্ষতা। এইজন্য আমি মনে করি যে, সাহিত্যে যারা পড়াচ্ছেন সেখানে ৫০% সাহিত্য রেখে ৫০% ভাষা চর্চা রেখে এর সঙ্গে ফনেটিক্স  ফোনলজি ,মোরফলজি যোগ করা । একই সাথে ভাষার যে উন্নত দিকগুলো আছে বিশেষ করে ভোকাভুলারি লেভেল (Advance level) রিডিং এর শব্দ ও অর্থ বোঝার দক্ষতা, লিসিনিং, স্পিকিং স্কিলস এই বিষয়গুলো সিলেবাসে অর্ন্তভুক্ত করা উচিত। কারণ লিসিনিং, স্পিকিং ভাষায় একটা বড় অপরির্হায অংশ। একজন শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে  লিসিনিং বা স্পিকিং এই ধরনের পরীক্ষা দিয়ে আসে না। রিডিং স্কিলেও তেমন ভাল হয়ে আসে না। তাই ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হওয়ার পরও আশানুরূপ ফলাফল করতে পারছে না। আমি মনে করি যে, এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া উচিত । যেহেতু আমি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির সেলট্রা সার্টিফাইড, আমি অনুধাবন করেছি যে, ভাষায় লেবেল এর  এ্যাপ্লিকেশনটা সবজায়গায় দরকার পড়ে।যেমন, আইএলটিএস এ Band score লাগে বিদেশে ভর্তি হতে, চাকরির ক্ষেত্রে সাহিত্যে খুব বেশি কাজে আসে না।

শিক্ষক -এস এম আবু নাঈম সরকার


উইমেনআই২৪ডটকম: চায়নার সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পার্থক্য কী ? এবং কেন ? যদি বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকে তবে এ থেকে উত্তোরণের উপায় কী ?

এস এম আবু নাঈম সরকার : চায়নাতে যে শিক্ষা ব্যবস্থাটা আছে (Basedon)‘বেস্ট স্টোন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থা’ এবং পলিটেকনিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং সবচেয়ে বেশি। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। অর্থাৎ ওরা জেনারেল বিষয়গুলোর চেয়ে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের বেশি পড়ায়। চায়নাতে কারিগরি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। চায়নায় শিক্ষা ব্যবস্থার কারিকুলামে বা সিলেবাসে বর্তমান সময়ের মার্কেটে যে দক্ষতাগুলো প্রয়োজন, সেই দক্ষতা অনুযায়ী সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়। যার কারণে তাদের মধ্যে ইনোভেশন কাজ করে যার কারণে চায়নায় সস্তায় অনেক কিছু বানাতে পারে। চায়নার তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে কারণ বাংলাদেশের কারিকুলাম কর্মমূখী না। যেমন শর্ট হ্যান্ড বিষয় এখনও চালু আছে। যার বাস্তবিক এখন আর কোন প্রয়োজন নেই। কিছু বিষয় আছে যেটা সব শিক্ষার্থীর পড়ার দরকার নেই।  শুধু কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়লেই হয় যেমন সাহিত্য। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা নেয়া সবার দরকার যাতে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে। যাতে আমরা নিজের দেশে কাজে লাগানোর পরেও আমরা দক্ষ জনশক্তি দেশের বাহিরে পাঠাতে পারি। সেজন্য টেকনিক্যাল এডুকেশনের উপর গুরুত্ব দেয়া দরকার। মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের কোর্স কারিকুলাম হতে পারে। যেমন যদি বাংলাদেশে ৫ লাখ গাড়ি লাগে তবে এই ৫ লাখ গাড়ি বানাতে বাংলাদেশে যে ধরনের দক্ষতা দরকার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজেও সেটা শিখানো প্রয়োজন। যাতে দেশের বাহির থেকে এক্সপার্টদের আমাদের দেশে নিয়ে আসতে না হয়।আমাদের নিজস্ব জিনিস আমরা নিজেরাই বানাতে পারি। আমাদের এক্সপোর্ট খরচটা যেন কমে যায়। আমাদের ডলার যেন বাইরে চলে না যায়।

উইমেনআই২৪ডটকম: আমাদের দেশের সব সরকারই একটি করে শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে। এরপরও শিক্ষার অবনতি ঠেকানো যাচ্ছে না। কেন ?

এস এম আবু নাঈম সরকার : সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে শিক্ষার মানটাকে বাড়ানো এবং শিক্ষাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার যেখানে জনসংখ্যা দক্ষ জন শক্তিতে রূপান্তরিত হবে। আমি আগেও বলেছি সিলেবাসে কর্মমূখী শিক্ষা অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। পুরানো কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হবে। এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কী পড়াচ্ছে সিলেবাস প্রণীতাদের তাও জানতে হবে। যেমন, শর্টহ্যান্ড  বিষয়টি চালু আছে। কিন্তু বাস্তবে শর্টহ্যান্ডের কোন বাস্তবিক প্রয়োগ নেই। এরকম আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলোর প্রয়োগ নেই কিন্তু পড়ানো হয়। এই বিষয়গুলোর জায়গায় যদি বেশি করে আইসিটি, টেকনিক্যাল বিষয়গুলো পড়ানো হয় তাহলে আমাদের দক্ষ জানশক্তি তৈরি হবে। প্রাথমিক স্তর থেকে আইসিটি বিষয়টি সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করা খুব প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। বিদেশে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বিষয়টা আমি অনুভব করি ।ভাষায় দক্ষতা  বৃদ্ধির জন্য যেটা হচ্ছে লিসিনিং,রাইটিং, স্পিকিং, রিডিং চারটা মডিউল নিয়েই সিলেবাস প্রনয়ণ করা উচিত। যখন একটা শিক্ষানীতি প্রণয়ণ করা হয় তখন আমাদের বিদেশে যারা এক্সপার্ট আছেন বিদেশে পড়াচ্ছেন, বিদেশে যারা ল-মেকিং এ আছেন তাদের সাথে একটা কোলাবরেশন করে  কাজটা সরকার করতে পারেন। এটা সরকারের জন্য খরচ নয় বরং ইনভেস্টমেন্ট।


উইমেনআই২৪ডটকম: বর্তমানে আপনি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইএলটিএস এর ক্লাস নিচ্ছেন এক্ষেত্রে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে পাঠদান পদ্ধতি ও আপনাদের প্রতিষ্ঠান এর পাঠদান পদ্ধতির মধ্যে বিশেষত্ব কী ?

এস এম আবু নাঈম সরকার: বাংলাদেশে একটা স্বন্যামধন্য প্রতিষ্ঠান SMANS School of English -এ ক্লাস নিই  আর একটা হচ্ছে ‘এসিই পিটিই’ACE PTE,(Pearson Test of English)  অষ্ট্রেলিয়া থেকে পরিচালিত হয়। আর SMANS School of English এটা চায়না থেকে পরিচালিত হয় ।
আইএলটিএস এর পাঠদান পদ্ধতির বিশেষত্ব হচ্ছে প্রথমত আইএলটিএস এর ভালো স্কোর দরকার। আইএলটিএস যারা পড়াবেন তাদের ও ব্যান্ড ৮/ ৯ স্কোর থাকা প্রয়োজন। একই সঙ্গে শিক্ষকতায় অভিজ্ঞতা প্রয়োজন এবং সার্টিফাইড টিচিং অভিজ্ঞতাও দরকার। কিন্তু বাংলাদেশে বা পুরো পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ক্যামব্রিজ (সেল্টা), সেল্টা হচ্ছে -Certificate in Teaching English to Speakers of Other Languages.।  আমি ১৩ বছর ধরে আইএলটিএস পড়াচ্ছি। আমার টোফেল এর রিসেন্ট স্কোর রাইটিং এ ৩০তে ৩০ যেটা আইএলটিএস এ ব্যান্ড ৯,লিসিনিং, রিডিং এ ও আমি ৩০/২৯ যা আইএলটিএস এর স্কোর ৮.৫-৯.0 তো এই জিনিসগুলো পড়ানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগে এবং টিচিং এক্সপেরিয়েন্স অবশ্যই দরকার। আইএলটিএস পড়ানোর ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজীগুলো আপডেট করতে হয় রেগুলার। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যায় একটা প্রতিষ্ঠানের অনেক গুলো শাখা হয়ে যায়। তখন তারা শিক্ষার গুনগত মান বজায় রাখতে পারছে না। কারণ আইএলটিএস এ যাদের ৭, ৮ থাকে তারা সাধারণত বাংলাদেশে থাকে না। তারা বিদেশে চলে যায়। এজন্য দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি আছে। তবে যদি অনলাইন প্লাটফর্ম চিন্তা করেন তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কারণ অনলাইনে যারা পড়াচ্ছেন,যেমন: SMANS  স্কুলে একজন শিক্ষক মোঃ রাশেদ আলম খান, যিনি ইন্টারন্যাশনাল পিটিই ট্রেইনার ।অস্ট্রেলিয়ার সিডনী থেকে ক্লাস নিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশে আইএলটিএস এর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন প্ল্যাটফরমে নেই। আমরা অনেকেই বিদেশ থেকে অনলাইনে ক্লাস নিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে চিন্তা করলে অনলাইন বেজড  প্লাটফর্মটা ভালো। আর এখন তো কম্পিউটার বেজড টেস্ট আসছে। ঘরে বসেই আইএলটিএস এর প্রস্তুতি নেয়া যায়। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানের রিভিউ দেখা। যারা আগে কোর্স করছে তাদের কাছ থেকে  জেনে নেয়া। সবমিলিয়ে বাংলাদেশে এখন আইএলটিএস এর শিক্ষা পদ্ধতির মান অনেক ভাল। কারণ অনেক ভাল ভাল প্রশিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য একটা ভালো দিক।

 

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়

সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়বেন জেড আই খান পান্না

দায়িত্ব নিলেন নতুন আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার

অনিয়ম রোধে রেলে যুক্ত হলেন ৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

জ্বালানি তেলের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি

জ্বালানি তেলের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি

রিকশাচালকদের সরিয়ে দিলো সেনাবাহিনী, যানচলাচল শুরু

সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার

২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

শেখ হাসিনার পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে চান জেড আই খান পান্না

চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক নিয়োগ পেলেন টবি ক্যাডমান

কাল্পনিক চরিত্রের সঙ্গে ৬ বছরের সংসার যুবকের!

ইসরায়েলকে রক্ষায় জাতিসংঘে ৪৯ বার ভেটো যুক্তরাষ্ট্রের!

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে