
ছবি সংগৃহীত
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে, উভয় দেশ নিজেদের প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হুমকি-ধামকির মাধ্যমে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে কাশ্মীর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) তৃতীয় দিনের মতো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও এবিপি লাইভের পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের তুতমারি গলি ও রামপুর সেক্টরের বিপরীত দিকে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ২৬-২৭ এপ্রিল মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চৌকিগুলোর থেকে বিনা প্ররোচনায় ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ শুরু হয়, যার জবাবে ভারতীয় সেনারা পাল্টা হামলা চালায়।
এটি পরপর তৃতীয় রাতের ঘটনা, যেখানে পাক-ভারত সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। এর আগে শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় একই ধরনের গুলি বিনিময় হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাকিস্তানি সেনারা বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে, তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে এই হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছে এবং ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার পাশাপাশি আরও কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। পাকিস্তান এ পদক্ষেপগুলোকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে দেখে এবং সিন্ধু নদের পানি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ কড়া বার্তা দিয়েছেন, বলেছেন যে, পাকিস্তান তার পানির অধিকার যেকোনো মূল্যে রক্ষা করবে।
এদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর ভারতকে হুমকি দিয়েছেন, বলেন, “সিন্ধু দিয়ে পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।”
ইউ