
ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনার পর এবার রাশিয়া যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্বাস আরাঘচি। এই সফরের লক্ষ্য রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা করা।
এর আগে ওমান সফরকালে আরাঘচি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বৈঠক করেন। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর এটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের মুখোমুখি আলোচনা।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই জানিয়েছেন, সপ্তাহের শেষ দিকে আরাঘচি মস্কো যাবেন এবং সেখানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ইতোমধ্যেই এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মার্চ মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি চিঠি পাঠান, যেখানে তিনি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান। পাশাপাশি ইরান যদি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে, তবে সামরিক পদক্ষেপের হুমকিও দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে যে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে। তবে তেহরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া ও চীন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ায় আরাঘচির সফর ওই আলোচনার একটি ধারাবাহিক অংশ এবং এতে পশ্চিমাদের চাপ মোকাবিলায় ইরান কৌশলগত সহযোগিতা চাইতে পারে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ওমানে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বৈঠককে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘গঠনমূলক পরিবেশে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে’ হয়েছে বলে বর্ণনা করেছে। এই বৈঠক স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয় এবং সেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
দুই পক্ষই আগামী সপ্তাহগুলোতে আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ইউ