
ছবি সংগৃহীত
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ফের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে দেশটির মেইকটিলা শহরের কাছে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
এর আগে ২৮ মার্চ একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়, যার পর থেকে শতাধিক আফটারশক অনুভূত হচ্ছে। আজকের ভূমিকম্পটিকে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী বলে মনে করছেন ভূতাত্ত্বিকরা।
রোববারের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ওয়ান্ডউইন টাউনশিপ এলাকায়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, এর গভীরতা ছিল ৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার। তবে মিয়ানমারের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, কেন্দ্রস্থল ছিল ২০ কিলোমিটার গভীরে।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, ওয়ান্ডউইনের দুই বাসিন্দা জানিয়েছেন, ভূকম্পনটি এতটাই তীব্র ছিল যে মানুষজন আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। কিছু ভবনের ছাদে ফাটলও দেখা গেছে।
একইসঙ্গে রাজধানী নেপিদো এবং মান্দালয়—এই দুই শহর ২৮ মার্চের ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ধসে পড়েছিল বহু সরকারি ভবন ও অবকাঠামো। এখনও এসব এলাকায় চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম।
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জে ইউন টুন জানান, ২৮ মার্চের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ১৮ জন।
জাতিসংঘ সম্প্রতি জানিয়েছে, মার্চের ভূমিকম্প দেশটিতে চলমান মানবিক সংকটকে আরও প্রকট করে তুলবে। গৃহযুদ্ধের কারণে মিয়ানমারে এরইমধ্যে ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। দ্য হিন্দু
ইউ