
ছবি সংগৃহীত
৯ মাস মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসার ১৩ দিন পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন নাসার নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ১৮ মার্চ পৃথিবীতে ফিরে আসার পর ৩১ মার্চ হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
মহাকাশে থাকা অবস্থায় অনেক নতুন কিছু শিখেছেন এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানান সুনিতা ও বুচ। সুনিতা বলেন, তারা জানতেন যে স্টারলাইনারের পরীক্ষামূলক মিশনে কিছু অদ্ভুত পরিস্থিতি হতে পারে, তবে মানুষের এত আগ্রহ ও মনোযোগ দেখে তাঁরা অভিভূত হয়েছেন। সুনিতার মতে, এই যাত্রার গুরুত্ব উপলব্ধি করে তিনি এবং বুচ অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন।
এছাড়াও, তাঁরা জানিয়েছেন, স্টারলাইনার অত্যন্ত সক্ষম এবং ভবিষ্যতে আবারও এটি ব্যবহার করার ইচ্ছা রয়েছে। বুচ আরও বলেন, তারা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়েছেন, সেগুলো ঠিক করা হবে। নাসা এবং বোয়িং সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একসঙ্গে এগিয়ে যাবেন।
মহাকাশে থাকাকালে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিশেষ করে, ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে সুনিতা ও বুচকে মহাকাশ স্টেশনে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। তবে নিক হেগ, ক্রু-১০-এর সহকর্মী, বলেন, মহাকাশে থাকার সময় তারা কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব অনুভব করেননি এবং তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল কাজ করা।
এর আগে, ২০২৪ সালের জুনে মাত্র আট দিনের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। তবে মহাকাশযানের ত্রুটির কারণে তাদের পৃথিবীতে ফেরার পরিকল্পনা বিলম্বিত হয়। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তিরা দাবি করেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইলন মাস্কের মতে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাজনৈতিক কারণে তাদের মহাকাশে আটকে রেখেছিলেন, কিন্তু এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অবশেষে, ১৪ মার্চ নাসা ও স্পেসএক্সের 'ক্রু-১০' মিশনের মাধ্যমে সুনিতা এবং বুচকে পৃথিবীতে ফেরানো হয়। তাদের বহনকারী ক্যাপসুল ১৮ মার্চ, বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে ফ্লোরিডার উপকূলে সমুদ্রে অবতরণ করে।
ইউ