
ফাইল ছবি
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি প্রথা ভেঙে প্রথম বিদেশ সফরের জন্য ইউরোপকে বেছে নিয়েছেন, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাধারণত, কানাডার কোনো প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান, তবে কার্নি এই ঐতিহ্যকে অগ্রাহ্য করে ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার লক্ষ্যে ইউরোপ সফর শুরু করেছেন।
গত ১৪ মার্চ কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মার্ক কার্নি, এবং তার পরই তিনি ফ্রান্স সফরের জন্য রওনা হন। সেখানে তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। ফ্রান্স সফরের পর তিনি লন্ডন যান, যেখানে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এই সফরের মাধ্যমে কার্নি কানাডা ও ইউরোপের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার চেষ্টায় রয়েছেন, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ব্যাপকভাবে অবনতি হয়েছে, কারণ ট্রাম্প প্রশাসন কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করেছে এবং কানাডাও পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে। তাছাড়া, ট্রাম্পের একটি মন্তব্য, যেখানে তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একীভূত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা কানাডায় সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, কার্নি শপথগ্রহণের পর বলেছেন, ‘কানাডা কোনো দিনই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হবে না।’
এভাবে, মার্ক কার্নির ইউরোপ সফরের মাধ্যমে কানাডা তার ঐতিহ্যবাহী প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের সংকটের মাঝেও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
ইউ