
ফাইল ছবি
ইরানে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক, এবং এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সম্প্রতি, হিজাববিহীন নারীদের শনাক্ত করতে দেশটির রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণাঞ্চলে ড্রোন ব্যবহার শুরু হয়েছে। ইরান সরকার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নারীদের হিজাব পরিধান নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এই বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্রোনের পাশাপাশি নারীদের হিজাব পরার বিষয়টি নজরদারি করতে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম এবং একটি অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে, যার নাম 'নাজের'। এই অ্যাপের মাধ্যমে কোনো নারী হিজাব পরিধান না করলে তার বিস্তারিত তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠানো সম্ভব।
অ্যাপটির মাধ্যমে হিজাববিহীন নারীর গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, অবস্থান এবং হিজাববিহীন অবস্থায় থাকার সময়ের তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এরপর পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়, এবং গাড়ির মালিককে মোবাইলে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়, যেখানে বলা হয় যে তার গাড়ি হিজাব আইন লঙ্ঘন করেছে। যদি সতর্কতা উপেক্ষা করা হয়, তবে গাড়ি জব্দ করার হুমকি দেওয়া হয়।
এছাড়া, 'নাজের' অ্যাপটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ট্যাক্সি, অ্যাম্বুলেন্স এবং গণপরিবহনে থাকা নারীদের লক্ষ্য করে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এর পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে প্রায় ৩০০ জন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে ইরানের বিচারব্যবস্থা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কেও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে, ইরানে বিচারবহির্ভূত নিপীড়ন এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটছে বলে জানানো হয়েছে।
এই তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৮ মার্চ মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হবে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরবে।
ইউ