ঢাকা, বাংলাদেশ

রোববার, , ০৫ জানুয়ারি ২০২৫

English

বিদেশ

সীমান্তে নিরাপত্তা প্রশ্নে মমতার বক্তব্যে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক

উইমেনআই ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ২ জানুয়ারি ২০২৫

সীমান্তে নিরাপত্তা প্রশ্নে মমতার বক্তব্যে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক

ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিএসএফ পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশে সহায়তা করছে এবং এর পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সুপরিকল্পিত নীলনকশা রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজ্য সচিবালয় নবান্নে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে ইসলামপুর, সিতাই, চোপড়া এবং আরো কিছু এলাকা দিয়ে বিএসএফ লোকজনকে প্রবেশ করাচ্ছে এবং নারীদের ওপর অত্যাচার করছে। তিনি জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে আরো সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন এবং রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমারকে এই অনুপ্রবেশের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, সীমান্তের দায়িত্ব বিএসএফের হাতে, তৃণমূল বা রাজ্য পুলিশের নয়। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু মহল তৃণমূলের ওপর মিথ্যা দোষারোপ করছে এবং বিএসএফের দায়িত্বহীনতার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করছে। তিনি এ ধরনের প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘সংযত হন, সংবেদনশীল হন, ন্যায়-অন্যায় দেখুন।’

মুখ্যমন্ত্রী আরো অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে গুণ্ডা পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং সীমান্ত পেরিয়ে এসে খুন করে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটা বিএসএফের অনেক ভেতরকার কাজ।’ তিনি দাবি করেন, এর পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ব্লুপ্রিন্ট রয়েছে এবং কেন্দ্রের মদত ছাড়া এটি সম্ভব নয়।

এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে কড়া চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘আমরা চাই, ওখানেও শান্তি থাক, এখানেও থাক। আমাদের দুই বাংলার মধ্যে কোনও খারাপ সম্পর্ক নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘বারবার কেন্দ্রকে বলেছি, আপনারা যা করবেন, আমাদের সেটাই পথ। কিন্তু যদি দেখি আমার রাজ্যকে ডিস্টার্ব করতে জঙ্গি হানায় কেউ মদত দিচ্ছেন, তাহলে তো প্রতিবাদ করতেই হবে। আমাদের প্রতিবাদপত্র যাবে।’

এই অভিযোগগুলি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এদিকে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে।

এই পরিস্থিতিতে, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং রাজ্য-কেন্দ্র সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উভয় পক্ষের সমন্বয় ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ইউ

নির্বাচনের দুটি সম্ভাব্য সময় জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

যশোরে আজহারীর মাহফিল ঘিরে ৩ শতাধিক জিডি

বৃষ্টির আশঙ্কা, ফের যেদিন থেকে শৈত্যপ্রবাহ

স্ট্রোক করে চারদিন বাসায় পড়ে ছিলেন অঞ্জনা!

রাজধানীতে সাত মিনিটে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি

কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ

নাফ নদীতে কোস্টগার্ডের সঙ্গে গোলাগুলিতে মাদক কারবারি নিহত

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া পায়নি ঢাকা:

 ট্রাক্টর উল্টে প্রাণ গেল কিশোর চালকের

আগামী নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ড. ইউনূস

খুঁটিতে বেঁধে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারপিট, থেঁতলে গেল দুই পা

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় যেন অপহরণকারীদের অভয়ারণ্য

রাজধানীতে মায়ের পরকীয়ার বলি নবজাতক

শহীদ মিনারের সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্রকে মারধর

শার্শায় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ