সংগৃহীত ছবি
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রথম এমন অনুমতি দিলেন তিনি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। যাতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র এবং রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার পরই পদক্ষেপ নিলো রাশিয়া।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, যে দেশ পারমাণবিক শক্তিধর নয়, কিন্তু সেই রাষ্ট্র যদি পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থন পায় তাহলে রাশিয়াও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া সবসময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার পক্ষে। আমরা শুধু আমাদের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি আর বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভিযান’ অব্যাহত থাকবে।
//এল//