সংগৃহীত ছবি
পোশাকবিধির বিরোধিতায় পোশাক খুলে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে হেঁটেছিলেন এক তরুণী। এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও তার কোনও খবর নেই। ওই তরুণীকে ইরানের একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আশঙ্কা, হাসপাতালের মধ্যে অত্যাচার করা হচ্ছে তােক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন তরুণীকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষত, ইরানের মানসিক হাসপাতালগুলির ইতিহাস সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ইরানের রাজধানী তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ওই তরুণী। পোশাকবিধির বিরোধিতা করতে গিয়ে সকলের সামনেই পোশাক খুলে ফেলেছিলেন তিনি। গত শনিবার সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আশপাশে মহিলারা সকলে যখন নিজেদের হিজাবে আদ্যোপান্ত ঢেকে রেখেছেন, তখন সেই হিজাব তো বটেই, বাকি পোশাকও তরুণী গায়ে রাখেননি। শুধু অন্তর্বাস পরে হেঁটে চলেছেন সকলের চোখের সামনে দিয়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে তরুণীর নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে আসেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, তরুণীর কিছু মানসিক সমস্যা রয়েছে। পরে জানা যায়, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়ে যাওয়া হয়েছে শহরের এক ‘কুখ্যাত’ মানসিক হাসপাতালে।
উল্লখ্য ২০২৩ সালেও এক প্রতিবাদী তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাজি মনোস্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে তার হাত এবং পা মোটা লোহার চেন দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
//এল//