
ছবি: জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা...
রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৯৯ রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। এদের মধ্যে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৩৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনা, মোটরবাইক দুর্ঘটনা, বিভিন্ন গার্মেন্টস ও কলকারাখানায় দুর্ঘটনা, নির্মাণাধীন বিল্ডিং থেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা, মারামারি, সংঘর্ষ ও গাছ থেকে পড়ে দুর্ঘটনা এবং বাসা-বাড়িতে বাথরুমে পিছলে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি। এদের মধ্যে ১ হাজার ২ শ ৪৮ জনকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ রোগী নিটোর বা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এক অনুসন্ধান রির্পোটে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিদিন হাসপাতালের নিচতলা ও দ্বিতীয়তলায় হাত-পা ভাঙ্গা রোগীর ব্যান্ডিজ ও প্লাস্টারসহ ১২০০-১৫০০ রোগীকে ড্রেসিংসেবা দেওয়া হচ্ছে।
এ বছর এপ্রিল ও মে মাসে নিটোরে চিকিৎসা নিতে আসা এবং ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বিগত মাসগুলোর তুলনায় বেড়েছে। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১শ ২ জন।
হাসপাতালের চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইউসুফ হারুন বলেন, প্রতিদিন গড়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৩২ জন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর মধ্যে ভর্তি করা হয় ১ হাজার ৬শ ২০ জনকে। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হয়েছেন ৫২ জন।
হাসপাতালের তথ্যে আরো দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্য ছিল ৪ হাজার ৭৬ জন। মাসটিতে প্রতিদিন গড়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৪৬ জন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ভর্তি করা হয় ১ হাজার ৫শ ৩৪ জনকে। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন। মার্চে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৬শ ৯০ জন। মাসটিতে প্রতিদিন গড়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১শ ৫১ জন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ভর্তি করা হয় ১ হাজার ৮শ ৩ জনকে। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন।
এদিকে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে চলতি বছর ৩ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২০ এপ্রিল একজন এবং ১৭ ও ২৬ মার্চ দু’জন মারা যান। ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের মধ্যে এপ্রিলে ১৮ জন, মার্চে ২২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৪ জন এবং জানুয়ারিতে ২২ জন অজ্ঞতানামার তালিকায় ছিলেন।
অন্যদিকে চলতি মে মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ২ হাজার ৮২৬ রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। এদের মধ্যে ভর্তি হয়েছে ২০০ রোগী।
প্লাস্টার ও ড্রেসিং বিভাগের ব্রাদার রহিম জানান, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি রোগী আসছে জাম-আম গাছ থেকে পড়ে হাতও পা ভাঙ্গা রোগী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন আম ও জামের ভরা মৌসুম চলছে। প্রতি বছরই এই সময়ে রোগী বেশি থাকে।
ইউ