ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, , ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

English

স্বাস্থ্য

জরায়ু মুখের ক্যানসারের যে লক্ষণ না বুঝে এড়িয়ে চলেন  নারীরা

উইমেনআই২৪ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জরায়ু মুখের ক্যানসারের যে লক্ষণ না বুঝে এড়িয়ে চলেন  নারীরা

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। নিজের শরীরের প্রতি নারীদের অবহেলা, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়াই এর হার বাড়াচ্ছে। আমাদের দেশেও অনেক নারী জরায়ু মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। 

প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যানসারের লক্ষণ বুঝতে পারলে এটি প্রতিরোধ করা এবং চিকিৎসা করা সম্ভব। জরায়ুর কোষ থেকে এই ক্যানসারের শুরু হয়। চিকিৎসকের মতে, উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) দ্বারা সংক্রমিত হলেই জরায়ু মুখের ক্যানসারের ঝুঁকিতে পড়েন নারীরা। এইচপিভি একটি ভাইরাস, যা যৌন যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।


জরায়ু মুখের ক্যানসার সম্পর্কে কী কী জানা উচিত? 

দুঃখজনকভাবে, অনেক নারীই জরায়ুর ক্যানসারের লক্ষণ প্রথম দিকে বুঝতে পান না, কারণ এটি সুস্পষ্টভাবে লক্ষণ দেখায়ই না। তাই এই ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে নারীদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। 

জরায়ু ক্যানসারের প্রধান কারণ ‘এইচপিভি’
 
গবেষণায় দেখা গেছে, জরায়ু মুখের ক্যানসার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইচপিভি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি একটি সাধারণ সংক্রমণ যা যৌন যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সব এইচপিভি সংক্রমণ ক্যানসারের দিকে পরিচালিত করে না। একমাত্র নির্দিষ্ট ধরনের এইচপিভি যদি দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে থাকে তাহলে তারা জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি প্রতিরোধ করতে, এইচপিভি ভ্যাকসিন নিলে, কিছুটা সাহায্য হতে পারে।

নিয়মিত চেক-আপে বাঁচতে পারে জীবন 

অনেক নারীই নিয়মিত চেক-আপ বা সার্ভিকাল ক্যানসার স্ক্রীনিং এড়িয়ে যান। তবে এই পরীক্ষাগুলোই প্রাথমিকভাবে ক্যানসার শনাক্ত করতে এবং জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে। প্যাপ স্মিয়ার বা এইচপিভি পরীক্ষার মতো টেস্ট জরায়ুর কোষে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে। সাধারণত ২১ বছর বয়সেই নারীদের এই স্ক্রীনিং শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এসব প্রাথমিক লক্ষণ উপেক্ষা করবেন না

যদিও সার্ভিকাল ক্যানসার সাধারণত প্রথম দিকে লক্ষণ দেখায় না, তবুও কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখলেই, তাতে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আপনি যদি অপ্রত্যাশিত রক্তপাত (বিশেষ করে শারীরিক সম্পর্কের পরে), গুরুতর পেলভিক ব্যথা বা অস্বাভাবিক স্রাবের মতো বিষয়গুলো লক্ষ্য করেন, তাহলে এগুলো সার্ভিকাল ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মোটেও অবহেলা করবেন না। দ্রুত একজন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে করণীয় 

প্রতিদিনের পর্যাপ্ত অভ্যাস সার্ভিকাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধূমপান করলে তা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন, কারণ ধূমপান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় এবং শরীরের জন্য এইচপিভি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন করে তোলে। শারীরিক সম্পর্কের সময় কনডম ব্যবহার করুন। জরায়ু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। এসব বিষয় খেয়াল রাখলে রোগটির ঝুঁকি কমবে। 

//এল//

নিয়োগ স্থগিত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের শাহবাগে অবস্থান

শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ট্রাইব্যুনালে বিএনপির অভিযোগ

‘পরী’ চান শেখ সাদী, স্পষ্ট করলেন পরীমণি

রাণীশংকৈলে আবাসিক হোটেল এর উদ্বোধন

লালন স্মরণোৎসব বন্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা

সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু শুক্রবার, মাঠে মুসল্লিদের সমাগম

সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু শুক্রবার, মাঠে মুসল্লিদের সমাগম

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন

দেশে ফিরলেন লিবিয়ায় আটক ১৪৫ বাংলাদেশি

ছাত্রদের নতুন দলের সম্ভাব্য আহ্বায়ক নাহিদ

শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়

হয় আমরা থাকব, না হয় আ.লীগ থাকবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি ট্রাম্প-পুতিন

দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

পীরগঞ্জের সব খবর