সংগৃহীত ছবি
জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতায় ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতাল সম্প্রসারণে দুই দিনব্যাপী জননীর জন্য পদযাত্রা শেষ হলো।
জননীর জন্য পদযাত্রা নামের শোভাযাত্রায় দুই দিনে ১১টি পথসভা, পথে পথে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে গাজীপুরে কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করেন অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।
গতকাল শনিবার সকাল দশটায় ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতাল ও মার্চ ফর মাদার মোর্চার উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা ও ক্যান্সার হাসপাতাল সম্প্রসারণের জন্য তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসার সভাপতিত্বে প্রকল্প সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন কর্মসূচীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।
বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি মেজর জেনারেল (অবঃ) ফাতমী আহমেদ রুমি, সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ ফারুক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হাকিম মজুমদার, অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, সিসিপিআর-এর নির্বাহী পরিচালক মোসাররত সৌরভ, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সেসাইটি, বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ হুমায়ুন কবির, হীল-এর প্রতিষ্ঠাতা জেবুন্নেছা, জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য শাহনাজ পল্লী, রোটারিয়ান আশিক উল আলম ও সৈয়দ আফতাবুজ্জাম, সাংবাদিক ও লেখক আসিফ নবী ও আনোয়ার বাবু।
অনুষ্ঠানে প্রায় সাত লাখ টাকা অনুদান হস্তান্তর করেন কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
ডা. রাসকিন জানান, ৯ থেকে ১৫ নছর বয়সী কিশোরীদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া, ৩০ বছর বয়স থেকে নিয়মিত স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা ও কোন লক্ষণ দেখা দিলে সংকোচ না করে হাসপাতাল না চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের প্রতিরোধ ও নিরাময় সম্ভব। এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেনতা সৃষ্টির জন্য সবাইকে ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসমাপ্ত স্বপ্ন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতালকে গণমানুষের ক্যান্সার হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলতে সবাই মিলে কাজ করবো। তিনি সবাইকে সাধ্যমত এখানে দান করার জন্য আহবান জানান।
//এল//