ছবি সংগৃহীত
দেশের স্বাধীনতার পর থেকে কোনরকম আইন ছাড়াই দেশে ইউনানী ও আয়ুর্বেদের মতো চিরায়ত প্রাচীন দু’টি চিকিৎসা পদ্ধতি পরিচালিত হয়েছে। সরকার এদিকে নজর না দেয়ায় এ খাতের বেহাল অবস্থা। তাই অচিরেই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চিরায়ত চিকিৎসা আইন পাশ হতেই হবে।
৪ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে জাতীয় শহীদ মিনারে এক মানববন্ধনে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা এ কথা বলেন। প্রাচীন ও চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রগামী জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রাচি’ এর আয়োজন করে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্র দু’টি প্রাচীন ও চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থা। লাখ লাখ মানুষ এ দু’টি চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থাশীল এবং চিকিৎসকরা মানুষকে এ দু’টি ব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা কোনরকম আইন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। সরকার এদিকে নজর না দেয়ায় এ খাতের বেহাল অবস্থা। তাই অচিরেই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চিরায়ত চিকিৎসা আইন পাশ হতেই হবে।
মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং মুখপাত্র মোখলেসুর রহমান; প্রাচি’র সহ-সভাপতি (ইউনানী) হাকীম আনোয়ার মোশতাক; সহ-সভাপতি (ইউনানী) হাকীম জসিম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (ইউনানী) হাকীম মোহাম্মদ শামীম; সাংগঠনিক সম্পাদক (ইউনানী) হাকীম মোঃ মাসুম হুসাইন, কাজী জিয়া সামস, হাকীম রবিউল ইসলাম, হাকীম বোরহান উদ্দিন, হাকীম আলাউদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
উপস্থিত চিকিৎসকরা বলেন, গত ৫৩ বছরেও চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন আইন পায়নি। ৮৩ সালের অধ্যাদেশ দিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এ দু’টি চিকিৎসা ব্যবস্থা। অথচ চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থাই চিকিৎসার মূল ধারা। আমরা আমাদের প্রাপ্য দাবি করছি। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য নিয়ে তাই চিরায়ত চিকিৎসা আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
তারা আরো বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদ বিষয়ে কোন আইন না থাকার কারণে বিশাল জনগোষ্ঠী এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির সুফল লাভ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো নজর নেই, পৃষ্ঠপোষকতা নেই, রয়েছে চরম অবহেলা।প্রাচি মনে করে, বাংলাদেশে অন্তত একটি পাবলিক ইউনানী ও আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয় থাকা উচিত। সেইসঙ্গে এই শিক্ষার মান নির্ধারণও জরুরি। আলোচ্য আইনটি পাসের আগে এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির মৌলিক রীতি-নীতি মেনে তা চূড়ান্ত করা একান্ত আবশ্যক বলে প্রাচি মনে করে। একইসঙ্গে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ ফর্মুলারি নতুন করে প্রণয়নের দাবি জানায় সংগঠনটি।
ইউ