ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশে ২০ হাজার নারী ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত। এটি ২০১৬ সালের জরিপ। বতমানে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে। ৬ বছরে সপ্তাহে ১২ ফিষ্টোলা সার্জন প্রতি জনে ৬টি ফিস্টুলা রোগীর অপারেশন করবেন। এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন কনফারেন্স এবং আইএসওএফএসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সায়েবা আকতার।
তিনি এও বলেন, যদিও ফিস্টুলা নির্মূলের জন্য সরকারের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্পের মধ্যে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আমরা এনজিও, দাতাসংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংখ্যাগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আশা করছি, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এই রোগ নির্মূল করতে সক্ষম হবো।
বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ফিসটুলা নির্মূলের লক্ষ্যে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।দেশের প্রতিটি অঞ্চলের নারীদের জন্য জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করছি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বিআইসিসিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সোসাইটি অফ অবস্টেটিক্যাল ফিস্টুলা সার্জন কনফারেন্স এর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কনফারেন্স এবং আইএসওএফএসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সায়েবা আকতার। এবারের প্রতিপাদ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ফিস্টুলা নির্মূল প্রতিশ্রুতি।
তিনি আরো বলেন, কনফারেন্সের মাধ্যমে ফিস্টুলা নির্মূলের জন্য একটি সুসংহত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। যা কেবল স্বাস্থ্য সেবায় নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে ফিস্টুলা নির্মূলের লক্ষ্য অর্জন করতে সরকার, স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা, গবেষক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে নতুন কর্মসূচি তৈরি করা হবে।
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০০ এরও বেশি চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা একত্রিত হয়েছেন। ওজিএসবি হাসপাতালে ৯-১০ ডিসেম্বর কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশ বিদেশের বিখ্যাত ফিষ্টোলা সার্জনগণ অংশগ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এখানে অংশ নিয়েছেন। এবারের কনফারেন্সের মূল উদ্দেশ্য প্রসবজনিত ফিস্টুলা সম্পর্কিত সচেনতা তৈরি করা। এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যৌথ প্রচেষ্টা গড়ে তোলা।
কনফারেন্সে সভাপতি অধ্যাপক সায়েবা আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ফিসটুলা নির্মূলের লক্ষ্যে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের প্রতিটি অঞ্চলের নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করছি।
তিনি আরো বলেন, ফিস্টুলা নির্মূলের নির্মূলের জন্য সরকারের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্পের মধ্যে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আমরা এনজিও দাতা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করছি এবং আশা করছি যে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এই রোগ নির্মূল করতে সক্ষম হবো।
তিনি উচ্চবিত্তদের দরিদ্র ফিস্টুলা রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়বহনের আহ্বান জানান।
কনফারেন্সের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভারচুয়াল অংশ নেন। তিনি ফিষ্টোলা সার্জনদের অনুপ্রাণিত করেছেন । বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমানl স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান, সম্মানিত অতিথি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী। এছাড়াও ইউএনএফপিএ, ইউএস-এইড, ফিষ্টোলা ফাউন্ডেশন, ফিগো, আইডিবি'র প্রতিনিধিরা কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।সন্ধ্যায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়ান, নেপাল, ঘানা, সুদান, পাকিস্তান, কেমেরুন, জামানি, সোমালিয়া সহ ৩৪টি দেশের ১৬৭ ফিষ্টোলা সার্জন এই সম্মেলনে অংশ নেন। দেশের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
ইউ