ছবি সংগৃহীত
শৈশব কৈশোরে পাখি, পাখির বাসার নাম শুনলেই মনে দোলা লাগতো।
পরিবেশ বান্ধব পাখিরা মানুষের সুস্থ্য জীবনধারাকে টিকিয়ে রাখতে সহায়ক।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ পাখিই বাসা বাঁধে বসন্ত আর গ্রীষ্মঋতুতে। তবে গ্রীষ্মঋতুতে বাসা বাঁধে বেশি।
শিল্পকর্মে ঠাসা সুনিপুণ সৌন্দর্যে তৈরি একেক পাখির বাসা একেক রকম। বাসা বাঁধার গান শুনলে মুগ্ধ হতে হয়, কৌশল দেখলে অবাক হতে হয়- বাসা দেখলে তো মুগ্ধতায় আবিষ্ট হতেই হয়।
বর্ষার আগেই পাখির ছানা উড়তে শিখে।
পাখির জন্য সুন্দর এক আবাসস্থল হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। বলা চলে রূপসী বাংলার এদেশ রূপে গুণে অতুলনীয় এক উজ্জ্বল প্রদীপের মত।
বিস্তির্ণ সবুজের মাঠ, ফসলের সমারোহ, নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাওড়, পাখিদের কলতান আর বহুমাত্রিক উদ্ভিদের পারস্পরিক মিলনস্থলে এ দেশ হয়ে উঠে রূপসী বাংলা।
রূপসী বাংলার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের নিরাপদ আবাসভূমি তৈরি, বাসা বাঁধার জায়গার সুবিধা তৈরি, নিরাপদে ডিম পাড়া, ছানা তোলা তথা বংশ বৃদ্ধির সুবিধা করে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। নতুবা পাখি বিলুপ্তি রোধ করা যাবে না।
অবাক করা বিষয় হলো; পাখির বাসা শুধু সৌন্দর্যেই নয় বরং কিছু পাখির বাসা মানুষের রসনা তৃপ্তিতেও ভূমিকা রেখেছে। যেমন- চীন, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াসহ কিছু দেশে সালাঙ্গান সুইফট পাখির লালা দিয়ে বানানো বাসার স্যুপ অত্যন্ত মূল্যবান এক উপাদেয় খাদ্যের স্থান দখল করেছে।
প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় এবং সুস্থ সুন্দর পৃথিবীতে বাঁচতে পাখিকে সুরক্ষা দেওয়া জরুরি।
মো. হাবিবুর রহমানের ফেসবুক পোফাইলের পোস্ট থেকে সংগৃহীত...
ইউ