কানাডায় শোয়েব- বাবুর- গজল-কবিতার যুগলবন্দি
গান আর কবিতা হাত ধরাধরি করে চলতে পারে, কিন্তু কবিতা আর গজলের যুগলবন্দি!তাও যে দর্শক শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে আটকে রাখতে পারে- তারই নিদর্শণ দিলো ‘শোয়েব- বাবুর এক সন্ধ্যা।
২৫ নভেম্বর শহরের ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে শিল্পী শোয়েব মোর্তোজার গজল আর আবৃত্তি শিল্পী দিলারা নাহার বাবুর আবৃত্তি দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে টরন্টোর চাইনিজ কালচারাল সেন্টারের মিলনায়তনটিকে যেনো মোহাচ্ছন্ন করে রাখে।
আয়োজক টরন্টোর অন্যতম ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান জেবিআর ইভেন্টস এর জুলিয়ানা রিনি ডি ক্রুজের ভূমিকার পরই মঞ্চের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন শোয়েব মোর্তোজা আর দিলারা নাহার বাবু।
কবিতা- গজল, গজল আর কবিতা, মাঝে মধ্যে দুই শিল্পীর টুকরো টুকরো কথার মালা পুরো আয়োজনটিকে যেনো ভিন্নরকম ব্যঞ্জণা দেয়।অবশ্য মুনিমা শারমিন সঞ্চালনার পোশাকি নাম নিয়ে কথার মালা আর খন্ড খন্ড আবৃত্তি দিয়ে পুরো আয়োজনে বাড়তি অলংকারের প্রলেপ মাখিয়ে দেন।
বাবু-শোয়েবের পরিবেশনার সময়, মঞ্চের পেছনের পর্দায় নানা ছবির প্রক্ষেপণ ধ্বনিত কবিতার গল্পগুলোকে আরো মূর্তমান করে তুলে। বাবুর কবিতার সাথে তাপস দেব এবং প্রিয়াংকা বড়ুয়ার অসাধারণ নৃত্য পরিবেশনাটিকে আরো মোহনীয় করে তুলে।
শোয়েব- বাবুর এই যুগলবন্দিতে যন্ত্রাংশে সঙ্গী হয়েছিলেন- এজরাসে- রতন সিং,কি-বোর্ডে জন মার্টিন,গিটারে জয় সরকার এবং তবলায় ডেরিক জাইকারাণ।
শোয়েব- বাবুর পরিবেশনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে টরন্টোর দেশে বিদেশে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এবং দেশে বিদেশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল মিন্টো বলেন, কবিতা নির্বাচন ও পরিবেশনায় দিলারা নাহার বাবু আমার ধারণার বাইরে চলে গেছে। সে যে এখন একজন পরিনত আবৃত্তি শিল্পী! তার উচ্চারণ শৈলী, কণ্ঠের কারুকাজ, আবেগের ওঠা নামা দেখে আমি মুগ্ধতার আবেশে ডুবে রইলাম দুই ঘন্টারও বেশি সময়।
অপরদিকে কবি দেলোয়ার এলাহীর প্রতিক্রিয়া- দিলারা নাহার বাবু ও মোর্তুজা শোয়েব নিম্নস্বরে, ব্যাকুল উচ্চারণে, সুরের বিস্তারকে যথাসম্ভব সুশ্রাব্য করে কঠোর শাসনে বেঁধে প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছেন। এই শাসন শ্রোতাদর্শকদের পরিবেশনার প্রতি মনোযোগকে নিবিষ্ট করে তুলেছে। আমাদের কাছে শিল্পের এটাই অন্যতম প্রধান দাবী। হলভর্তি দর্শকেরা তা পূরণ করেছেন সম্পূর্ণভাবে।
//এল//