ওয়াটারফ্রন্ট ম্যারাথনে উড়লো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
১৬ অক্টোবর ২০২২ অনুস্ঠিত হলো TCS Toronto Waterfront Marathon. প্রতিবছর অক্টোবরে কানাডার টরন্টো, অন্টারিওতে অনুষ্ঠিত হয় এই বার্ষিক ম্যারাথন। ৪২.২০ কিলোমিটারের দীর্ঘ ম্যারাথন ছাড়াও ২১.১০ কিলোমিটারের হাফ ম্যারাথন এবং ৫ কিলোমিটার রান এই ইভেন্টের অন্তরভুক্ত। এই ম্যারাথন দৌড়টি খুব দ্রুত Elite Label ম্যারাথনে পরিণত হয়েছে এবং এটি উত্তর আমেরিকার মাত্র পাঁচটি IAAF Gold Label ম্যারাথনের মধ্যে একটি।
২০০০ সালে যাত্রা শুরু হওয়া টরন্টো ওয়াটারফ্রন্ট ম্যারাথনের এবারের লক্ষ্য ছিল “to be the first Canadian event to achieve Evergreen Status with the Council for Responsible Sport.” এবং এবারের অঙ্গীকার ছিল “Sustainability is one of our core values”
কোভিড চলাকালীন ২০২০ এবং ২০২১ সালে উন্মুক্ত পরিবেশে রানিং ইভেন্ট আয়োজন করতে না পারলেও ভার্চুয়ালি সারা বিশ্বের অনেক রানার অংশগ্রহন করেন। তবে কোভিড পরবর্তি সময়ে উন্মুক্ত পরিবেশে ১৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সদ্য অনুস্ঠিত এই রেসে ৭০ টি দেশের ২২,০০০ বেশি রানার সরাসরি অংশগ্রহন করেন। টরন্টো ডাউনটাউন ইউনিভার্সিটি এভিনিউ থেকে যাত্রা শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ডাউনটাউন সিটি হলের সামনে শেষ হয়।
বাংলাদেশ থেকে আগত একমাত্র রানার প্রশান্ত রায় সহ বাংলাদেশী-কানাডিয়ান আরো চারজন রানার এই ইভেন্টে অংশগ্রহন করেন। তারা হলেন, হাসনাত শফিক রাসেল, অয়ন চৌধুরী, আজহার চৌধুরী, মিহাল আহসান।
TCS Toronto Waterfront Marathon দৌড় প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বুকে নিয়ে দৌড়ের স্বপ্ন নিয়ে প্রশান্ত রায় হাজার মাইলপাড়ি দিয়ে সুদূর ঢাকা থেকে টরন্টো এসেছেন।৪২.২ কিলোমিটার শেষে ফিনিশ লাইনে এসে প্রশান্ত রায়ের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি শুধু একটি কথাই বললেন, “স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কোভিডের কারনে গত দুই বছর ঢাকার রাস্তায় ভার্চয়ালি টরন্টো ওয়াটারফ্রন্ট ম্যারাথন সম্পন্ন করি। কিন্তু ভার্চুয়াল দৌড়ে আনন্দ নেই। সেই আনন্দ এবং স্বপ্ন পূর্ন হয়েছে এবার সরাসরি টরন্টোর রাস্তায় দৌড়ে। তিনি আরো যোগ করেন, “মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুস্থরাখার অন্যতম উপায় হাঁটা অথবা দৌড়। এর কোন বিকল্প নেই। অনেকেই এটাকে কস্টের মনে করেন, কিন্তু শুরু করলে যে ফিজিক্যাল ওমানসিক প্রশান্তি আসে, তা উপলব্ধি করার পর কেউ এটা ছাড়তে পারবে না। তিনি আরো বলেন, ডাক্তার ও ঔষধ এড়াতে চাইলেনিয়মিত হাঁটা এবং দৌড়ানোর কোন বিকল্প নেই।”
বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা হাতে প্রশান্ত রায়ের এটি ষষ্ঠ ইভেন্ট।
//এল//