
সংগৃহীত ছবি
প্রতি বছরের মতো এবারও টরন্টোয় বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য সর্বজনীন মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন হয়েছে ২০ এপ্রিল রবিবার। সংস্কৃতি বান্ধব টরন্টোর বাঙালি সমাজ স্বতস্ফূর্তভাবে এবারও আনন্দ ও খুশির জোয়ারে ভেসে, দেশাত্মবোধক গানে গানে চারিদিক মুখরিত করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন হাজার হাজার মানুষ। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি হাতে হাতে মিলিয়ে, ঢোল বাজিয়ে, মন্দিরা বাজিয়ে নেচে উঠলে টরন্টোর বাঙালিপাড়া ড্যানফোর্থের রাস্তা উৎসবের আমেজে মেতে ওঠে।
নগরীর ভিক্টোরিয়া পার্ক এভিনিউ ও ড্যানফোর্থ এভিনিউয়ের মেট্রো পার্কিং এলাকায় দুপুর বারোটা থেকে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য জড়ো হোন হাজারো মানুষ।গানে, বাজনায় এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। এসো হে বৈশাখ, এসো এসো গানে সমবেত কণ্ঠে মুখরিত করেন উপস্থিত জমায়েত। দুপুর একটার পরে শুরু হয় শোভাযাত্রা। হাজার হাজার মানুষের শোভাযাত্রায়, গানে গানে, ঢোল ও মন্দিরার বাজনায় পুরো বাঙালি এলাকা এক আনন্দ উৎসবের রূপ নেয়৷ সুশৃঙ্খল বাঙালির এহেন আনন্দে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারও আনন্দ ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
ভিক্টোরিয়া পার্ক এভিনিউ থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি বাংলা পাড়ার দোকান ঘেঁষে ডজ রোড পর্যন্ত যাত্রা করে আবার অন্যদিকে উৎসমুখ মেট্রোর পার্কিং এলাকায় ফিরে আসেন। মেট্রোর পার্কিং এলাকা থেকে শোভাযাত্রাটি সোজা ডেন্টোনিয়া পার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্মরণের স্মারক শহীদ মিনারে পাদদেশের মাঠে গিয়ে সমবেত হোন। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শহীদ মিনারের পাদদেশে শিল্পীরা সমবেতভাবে পরপর তিনটি দেশাত্মবোধক গান শেষে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নৃত্যের তালে তালে স্বতস্ফূর্তভাবে মেতে ওঠেন শহরের গুণী নৃত্য শিল্পীবৃন্দ। এদিকে আরেক পাশে ঢোল ও মন্দিরার তালে তালে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ধামাইল নৃত্যে মেতে ওঠেন আনন্দে উৎফুল্ল নারী পুরুষ। অবশেষে বিশাল আকৃতির বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চারপাশে জড়ো হয়ে আরেকবার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী আপামর বাঙালি। মানুষ ফিরেছে ঐতিহ্যের কাছে। গর্বে ভরে গেলো বুক।
মঙ্গলযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান সর্বজনীন মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনের আহ্বায়ক শিবু চৌধুরী।
//এল//