ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ২২ জানুয়ারি ২০২৫

English

এক্সক্লুসিভ

আজও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত নারী চা শ্রমিকরা

মৌলভীবাজার থেকে:

প্রকাশিত: ২০:৩০, ২০ মার্চ ২০২৪; আপডেট: ২০:৩১, ২০ মার্চ ২০২৪

আজও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত নারী চা শ্রমিকরা

সংগৃহীত ছবি

শ্যামল সবুজ শয্য সফলা চা পাতার সঙ্গে নারীর সম্পর্ক আজকের নয়, বহুকালের। দুটি পাতা একটি কুঁড়ি উঠে আসে নারীদের হাত স্পর্শ করে। নারীর ঘামে-শ্রমেই আজ চা শিল্প বাণিজ্যিক ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। যে নারী চা শিল্পকে অধিষ্ঠিত করেছেন মর্যাদার আসনে, আজও তারা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত।

বাংলাদেশে মোট চা-বাগানের সংখ্যা ২৪০টি (ফাঁড়ি বাগানসহ)। এর মধ্যে মূল বাগান রয়েছে ১৫৮টি। সারাদেশে কর্মরত চা শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার। চা শ্রমিকদের সিংহভাগ নারী।

 বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রের বরাতে জানা যায়, নারী-পুরুষের মজুরি এখন দৈনিক ১৭০ টাকা হলেও তিন ক্যাটাগরির বাগান রয়েছে। ফলে অনেক বাগানে নারী শ্রমিককে এখনও ন্যূনতম মজুরি ১২০ টাকাও দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং বাগানের স্থায়ী শ্রমিকের মজুরি এক হওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না।

নারী চা শ্রমিকদের মুখেই শোনা যাক কর্মক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতার কথা। কমলগঞ্জের আলীনগর চা-বাগানের অঞ্জনা কৈরী জানান, কর্মক্ষেত্রে নারীর বড় সমস্যা হলো তাদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিভিন্ন বাঁধার মুখে পড়তে হয়। চা-বাগানের প্রতিটি সেকশনে (পৃথক পৃথক আবাদ) বৃষ্টির সময় ছাউনি থাকে না। ফলে বৃষ্টি গায়ে মেখেই কাজ করতে গিয়ে ঠান্ডাজনিত নানান রোগ-শোকে ভুগতে হয় তাদের।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট চা-বাগানের চা শ্রমিক সুমা নায়েক, দীপা তাঁতি ও নীলু তাঁতি জানান, চার পুরুষ ধরে চা-বাগানে বাস করছেন, তারপরও তাদের বাসস্থানের মালিকানার অধিকার নেই। এ কারণে বিভিন্ন এনজিও থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে চা-বাগানের বাইরের নারীদের মতো তারা হাঁস, মুরগি লালন-পালন কিংবা অন্য কোনো ছোট ব্যবসা করে অতিরিক্ত আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের শুধু চা-বাগানের কাজ থেকে উপার্জিত টাকায় সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এতে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন হচ্ছে না। এমনকি ছেলে-মেয়েকে ঠিকমতো লেখাপড়াও করাতে পারছেন না।

উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ব্রহ্মাছড়া চা বাগানের তৃষ্ণা গোয়ালা, প্রতিমা নায়েক, অর্চনা গোয়ালাসহ কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, অতীতে টিলাবাবুরা (চা-বাগানের কর্মকর্তা) উত্তোলিত চা পাতা পরিমাপের সময় ইচ্ছামতো ওজনে কম বুঝে নিত। কোনো নারী শ্রমিক এর প্রতিবাদ করার সাহস পেত না। ট্রেড ইউনিয়নের পাশাপাশি চা-বাগানের নারী শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে ১৯৯৭ সালে মাদার্স ক্লাব নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়। নারীদের অধিকার নিয়ে এ সংগঠন কাজ করত। 

বাগানে এ সংগঠনের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ সংগঠনের কার্যক্রমের ফলে তারা প্রতিবাদ করতে শেখে। তাদের প্রতিবাদের মুখে টিলাবাবুরা সঠিক ওজন দিতে বাধ্য হতেন। কিন্তু ২০০৫ সাল থেকে চা-বাগানে মাদার্স ক্লাবের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে পড়ছেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ বলেন, বিশেষ করে নারীদের কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে অসুবিধায় মধ্যে পড়তে হয় সেটি হলো, চা-বাগানের সেকশনগুলোতে নারী চা শ্রমিকদের জন্য শৌচাগার এবং প্রক্ষালন কক্ষ নেই। বিষয়টির প্রতি দৃষ্টিপাত দিয়ে সরকার ও বাগান কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানানো ছাড়া চা শ্রমিকদের স্থান নেই।
 

//এল//

গদখালির ফুল চাষিদের ব্যস্ততা

‘সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে’ 

রাজধানীর ১৯ খাল পলিথিনে ভরে গেছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা 

পুলিশের সব ইউনিটে থাকবে একই পোশাক

চরমোনাই পীরের বাড়িতে গেলেন জামায়াতের আমির

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউএন উইমেনের ৪.৮ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে কাউন্সিল গঠন: অধ্যাদেশ জারি

বিস্ফোরক মামলায় জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ আসামির তালিকা প্রকাশ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী সরকারের নতুন পদক্ষেপ 

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

তৃণমূলের মানুষের অজেয় উত্থান প্রত্যাশী

তামাকমুক্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু 

প্রধান উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন

‘অপরাধীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে’ 

দিনে ৪১ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়