সংগৃহীত ছবি
শীতের তীব্রতা কমে আসার সাথে সাথেই পুরোদমে শুরু হয়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ইরিবোরো চাষাবাদ।
ইরিবোরো চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কিষাণীরা। গত বছরের মতো এবারও চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এমনটাই আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি বোরো চাষ মৌসুমে উপজেলা একটি পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নে ১৪ হাজার ১৭৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ৯৮ শতাংশ জমিতে বোরো চারা রোপণ কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার পৌর এলাকাসহ ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ পুরোদমে চলছে। কৃষকেরা এক অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের জমিতে বোরো চাষাবাদ শুরু করেছেন। আবাদ ব্যয়বহুল হলেও কৃষকেরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বোরো ধানের চাষাবাদ করে আসছেন। মৌসুমের শুরুতে হিমেল হাওয়া ও শীতকে উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে হাতে বোরো ধানের চারা নিয়ে মাঠে কাজ করছেন নারী ও পুরুষ কৃষিশ্রমিকরা। এর মধ্যে কিশোরী শ্রমিকদের অংশগ্রহণও রয়েছে সমানতালে। তবে শীতের তীব্রতা কমে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই কার্যক্রম আরো দ্বিগুণ গতি পেয়েছে। এ ছাড়া বোরো ধান আবাদে নারীদেরও পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সহযোগিতা করতে দেখা যায়। জমি তৈরি থেকে শুরম্ন করে চারা ওঠানোর কাজেও নারীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত বছরের মতো এবারও বোরো ধানের ভরা মৌসুমে সার ও সেচকাজের জন্য সঠিকভাবে বিদ্যুত সরবরাহ করা হলে ইরি-বোরোতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার বেতদীঘি ইউনিয়নের খড়মপুর গ্রামের কৃষক নূরে আলম সিদ্দিকী ও দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের কৃষক পরিক্ষিত চন্দ্র রায় বলেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। সামনের দিকে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, তাহলে আশানুরূপ উৎপাদন করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, চলতি ইরি বোরো চাষ মৌসুমে উপজেলা একটি পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নে ১৪ হাজার ১৭৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরজন্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে উপজেলার ৯৫ শতাংশ জমিতে বোরো চারা রোপণ কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে। 'বিগত দিনে এই উপজেলায় বোরো ও আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। এবারও বাম্পার ফলন হবে এমন লক্ষ্য নিয়েই কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধানের বাম্পার ফলন হবে।' কৃষকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সার-কীটনাশকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে উপজেলায় সার-কীটনাশকের সংকট হবে না।
//এল//