সংগৃহীত ছবি
থোকা আমের মুকুলে অপরূপ সাজে সেজেছে প্রকৃতি থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালপালা। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এর সুগন্ধ। শহর থেকে গ্রামগঞ্জ সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রঙ ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
মুকুলে বসে মৌমাছির দল গুনগুন শব্দে, মনের আনন্দে আহরণ করে মধু। মৌমাছির এ গুনগুন সুরও কেড়ে নেয় অনেক প্রকৃতি প্রেমিকের মন।
সরেজমিন দেখা গেছে,উপজেলার সর্বত্রই সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলে ছেয়ে আছে।আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ প্রকৃতিকে মাতিয়ে তুলছে। মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে নান্দাইলের প্রতিটি আম গাছে। এমন দৃশ্য যে কাউকেই কাছে টানবে।
উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামের দুলাল মিয়া ও গোলাম মোস্তফা জানান,প্রতিটি আম গাছে মুকুলে ছেয়ে গেছে।
লোহিতপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম ও ফাইজ উদ্দিন জানান, এবার আমগাছে মুকুলে ভরে গেছে।বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে এমনটি জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
নান্দাইল উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসি বলেন, উপজেলার সর্বত্র গাছে গাছে আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান,নান্দাইলে বাগানসহ প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গাছে গাছে আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন,এ বছর তা বিরাজ করছে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়।
//এল//