
ফাইল ছবি
জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ভাঙার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। একইসাথে কালবিলম্ব না করে ম্যুরালটি সংস্কার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার দাবিও জানান উদীচীর নেতৃবৃন্দ। লালমনিরহাটে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভেঙে ফেলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। অবিলম্বে পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছে।
৩০ মার্চ (রবিবার) এক বিবৃতিতে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাসের স্মারক ম্যুরালটি কোন ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে ভাঙা হয়েছে তা তদন্ত করে বের করতে হবে।
বিবৃতিতে উদীচীর নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৪০ ফুট দীর্ঘ ম্যুরালটিতে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার, ৭১-এর গণহত্যা, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণসহ জাতির গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা চিত্রিত ছিল। যা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলছিল। এই ম্যুরাল দেখে সাধারণ মানুষ তথা তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারতো। এর আগে, মহান বিজয় দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবসের আগে দুই দফা ম্যুরালটি ঢেকে রাখা হয়। তখন জেলা প্রশাসক দাবি করেছিলেন, চব্বিশের চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে এটি ঢেকে রাখা হয়েছে।
উদীচী পরিস্কারভাবে বলতে চায়, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনা কোনভাবেই একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। দুটি ক্ষেত্রেই মূল লক্ষ্য ছিল বৈষম্য থেকে মুক্তি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পেলেও বৈষম্য থেকে মুক্তি না পাওয়ার কারণেই সাধারণ মানুষকে ১৯৯০ বা ২০২৪ সালের মতো বারবার রাজপথে আন্দোলন করতে হয়েছে, আত্মাহুতি দিতে হয়েছে। কিন্তু, ৭১ এবং ২৪ কে মুখোমুখি বা সাংঘর্ষিক অবস্থানে নেয়ার কথা বলে একটি অপশক্তি সচেতনভাবে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টা প্রতিহত করার আহ্বানও জানান উদীচীর নেতৃবৃন্দ।
ইউ