ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, পৌষ ৪ ১৪৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

English

বিনোদন

শিল্পকলায় দেয়াললিখন ও দেয়ালচিত্রের প্রদর্শনীর উদ্বোধন

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২২:৪৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শিল্পকলায় দেয়াললিখন ও দেয়ালচিত্রের প্রদর্শনীর উদ্বোধন

সংগৃহীত ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও স্বৈরাচার পতনের পর দেয়াললিখন ও দেয়ালচিত্রের আন্দোলনসহ, আলোকচিত্রে আন্দোলনের প্রামাণ্য দলিল তুলে ধরে বহুমাত্রিক একটি আর্কাইভ গড়ে তোলার প্রাথমিক প্রয়াস হিসেবে  প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। 


সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বিজয় দিবসে সন্ধ্যা ৭ টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘২০২৪: ঐ নূতনের কেতন ওড়ে’ মাসব্যাপী পোস্টার, পেইন্টিং, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, কার্টুন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন জুলাই বিপ্লবে আহত ছাত্র ও ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান। 

উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “জুলাই বিপ্লব ২০২৪ অনিবার্য হয়ে ওঠেছিলো, কারণ স্বাধীনতা বেহাত হয়ে গিয়েছিলো। এটা কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, এর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল এবং তারা জানতেন যে কে দেশ চালাচ্ছিল। সেই ক্ষোভ থেকেই ২৪ জুলাই হয়েছিলো। একাত্তরের চোখ দিয়েই ২০২৪ হয়েছে। আমাদের দেশ আর সেই অবস্থায় আর ফিরে যাবে না।”

শিল্পকলা একাডেমির নানামাত্রিক অনুষ্ঠানমালার প্রশংসা করে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, “এই বিজয়ের মাসে উৎসবের জোয়ার চলছে শিল্পকলা একাডেমিতে। যারা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে যে বাংলাদেশ ইসলামিস্টরা দখল করে নিয়েছে, তাদের জন্য উত্তর হবে শিল্পকলা একাডেমির নানামুখী এসব অনুষ্ঠানমালা।”

সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, “এতো বছর ভাষাতাত্ত্বিক, ভাষাভিত্তিক যে জাতীয়তাবাদের কথা বলা হয়েছে ভাষার বাইরে শুধু বাঙালির কথা যেটা বলা হয়েছে সেখানে শিল্পকলা একাডেমি মনে করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী না বলে “আদিবাসী” বলে পরিচয় দেয়া হোক। একইভাবে মুসলিম হলে মনে করা হতো নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী দল, যাদের জুজুর ভয় দেখিয়ে ১৫ বছর শাসন চালিয়ে গেছে। তার মানে ইসলামিক কোন শাসনব্যবস্থা আমাদের মধ্যে ঢুকতে পারবে না। অথচ লোক দেখানোর জন্য তারা ওমরা করেছেন। গোপনে যোগ সাজেশ করেছেন।” 

মহাপরিচালক আরো বলেন, “আজকে যারা আওয়ামীদের প্রকাশ্য সমর্থন করে রবীন্দ্রনাথের কথা বলে যাচ্ছে যে আমরা রবীন্দ্রনাথকে ভুলে যাচ্ছি। জাতির দুইটা বিষয় আছে একটি অতীত একটা বর্তমান। গত ১৫ বছরে একাত্তরের খন্ডিত ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে যেখানে জেনারেল ওসমানী নেই, তাজউদ্দিন নেই, শেখ মুজিবকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তারা তাদের ভাবাদর্শ তৈরি করেছেন। যা সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের অতীতের স্মৃতি।” 
সকলের সহাবস্থান উল্লেখ করে নাট্যকার ও শিক্ষক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, “সকল চিন্তা, সকল মহৎ পথ, সহিষ্ণুতার সাথে আমরা শুনতে পারি। আমরা এখন বিশৃংখলতার চাইতে শিল্পকর্মের দিকে, নতুন চিন্তার দিকে নজর দেই। আমরা মনে করি জাতিগত পরিচয় তুলে ধরবে শিল্পকর্ম। বহুবছর আগের হিন্দু শাসন, মুসলমান শাসন, বৌদ্ধ শাসন কিভাবে মনে রাখব, তার উপরে আমাদের জাতিসত্তা নির্মিত হবে। বিশৃঙ্খল না হয়ে আমাদের একে অপরের কথা শুনতে হবে, আমরা যেন নিজেরা নিজেদের পথকে বের করতে পারি এবং একসাথে থাকতে পারি তার মনোবাসনা সকলের থাকতে হবে।”

পরে প্রধান অতিথি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং গ্যালারী পরিদর্শন করেন। 

একইসাথে সন্ধ্যা ৬.০০ টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে শুরু হয় বিজয়ের অনুষ্ঠান। একাডেমির সংগীত, নৃত্য এবং আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংগীত ও নৃত্য আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রশিল্পীবৃন্দের সমবেত যন্ত্রসংগীত ‘দেশের গান’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সমবেত সংগীত ‘ও আলোর পথযাত্রী’ এবং ম্যাশআপ (‘সবকটা জানালা’, ‘একবার যেতে দি না’, ‘বিপ্লবের রক্তে রাঙা’, ‘একতারা লাগে না আমার’ এবং ‘ও আমার দেশের মাটি’) পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কন্ঠশিল্পীবৃন্দ; একক আবৃত্তি ‘ছবি’ (আবু হেনা মোস্তফা কামাল) করেন মাহিদুল ইসলাম মাহি। সমবেত নৃত্য ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা’ পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন লায়লা ইয়াসমিন লাবণ্য এবং কণ্ঠ দিয়েছেন রোখসানা আক্তার রূপসা; একক সংগীত ‘যে মাটির বুকে’ ও ‘মাগো ভাবনা কেন’ পরিবেশন করেন পিয়াল হাসান। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা এবং ‘এসো বাংলাদেশের যত বীর জনতা’ ও ‘মোরা ঝঞ্জার মত উদ্দাম’ পরিবেশন করে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী ফাউন্ডেশন। একক সংগীত পরিবেশন করেন ফেরদৌস আরা; সমবেত নৃত্য ‘বিপ্লবী জনতা’ পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ, পরিচালনায় ছিলেন ইমন আহমেদ, সহযোগী নৃত্য পরিচালক হিসেবে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম সানি, গীতিকার- কফিল উদ্দিন মাহমুদ, সুরকার- ফাহাল হোসাইন অন্তু, কন্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কন্ঠশিল্পীবৃন্দ, যন্ত্রসংগীতে ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রশিল্পীবৃন্দ। একক আবৃত্তি করেন দি রেইন। 
সবশেষে মঞ্চে ওঠে ব্যান্ডদল ‘আর্টসেল’ এবং  ‘লালন’ ।
 সকাল ১০ টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

//এল//

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই: তারেক রহমান 

খেলনা পিস্তল নিয়ে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়েছিল ৩ যুবক

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতেছে  শিল্পকলা 

ইসলামী ব্যাংকের মধুবাগ উপশাখা উদ্বোধন

আহতদের প্রত্যেককে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে : উপদেষ্টা শারমীন 

ট্রাম্পের টিমে আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত কে এই নারী?

ঢাকাসহ ৭ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

পরিচয় মিলেছে তিন ব্যাংক ডাকাতের

শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান

এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

একাত্তরের বিষয় মীমাংসায় একমত বাংলাদেশ-পাকিস্তান

বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দো

‘বাসগুলো দূষণ করতে থাকবে, এটা চলতে দেওয়া হবে না’ 

রূপালী ব্যাংকে হানা দেয়া ৩ ডাকাতের আত্মসমর্পণ

বিদ্যুতের দাম বাড়বে না: জ্বালানি উপদেষ্টা