সংগৃহীত ছবি
ঢাকার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী জুনায়েদ আমিন মানীর একক চিত্র প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হলো ৩৩ টি চিত্রকর্ম। এই চিত্র প্রদর্শনীতে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ, স্থাপনা, প্রকৃতির নান্দনিক রূপ ও ঐতিহ্যবাহী জীবনযাত্রার আবেগময় প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা কেন্দ্রের সুবর্ণ মঞ্চে ঢাকার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী জুনায়েদ আমিন মানীর একক চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এই প্রদর্শনী ঢাকার শিল্প, সংস্কৃতি ও ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য এক অসাধারণ মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ইতিহাসবিদ, গবেষক মাওলা বখ্শ সরদার মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা হাশেম সূফী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও আদি ঢাকার শীর্ষস্থানীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রভাবকরা।
হাশেম সূফী তার বক্তব্যে বলেন, “আদি ঢাকার সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে জুনায়েদ আমিন মানীর এই শিল্পকর্ম ও প্রদর্শনী একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।”
জুনায়েদ আমিন মানী বলেন, “ডুডল আর্টের এর মাধ্যমে আমার চিত্রে তুলে ধরেছি হৃদয়ের প্রয়াস। যারা এসেছেন এবং এই শহরের ঐতিহ্যকে ভালোবেসেছেন, তাদের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা।”
প্রদর্শনীটি আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
জুনায়েদ আমিন মানী মোবাইলে ডুডল এ্যাপসে ছবি একেঁ শিল্পকলা একাডেমিতে শতাধিক ছবির একক চিত্র প্রদর্শনী করেন। এ ধরনের মোবাইলে আঙ্গুলে ছোয়ায়ঁ আকাঁ চিত্র প্রদর্শনী বাংলাদেশে প্রথম বলে বিশিষ্টজনেরা ভূয়সী প্রশংসা করেন। ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীদের গেমসের বদলে মোবাইলে ছবি আকাঁর বিষয়ে অনুপ্রেরণার উপর গুরত্ব আরোপ করেন। জুনায়েদ আমিন মানী মোবাইল এ্যাপসে বিভিন্ন সময় মোট চারটি প্রদর্শনী করেছেন।
দ্বিতীয় পর্বে আলোচকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রভাবকদের মিলনমেলায় ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও কীভাবে তুলে ধরা যায় তা তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক মোহাম্মদ আজিম বখশ বলেন, “আদি ঢাকার সৌন্দর্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে ডিজিটাল মাধ্যমে কোন বিকল্প নেই” এবং এটি ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণে একটি নতুন ধারা হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা মিলনমেলাকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং অনুপ্রেরণামূলক বলে উল্লেখ করেছেন।
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও বেশি জীবন্ত করে তোলে।”
মিলনমেলা থেকে প্রাপ্ত ধারণাগুলোর ভিত্তিতে আদি ঢাকার গল্পকে আরও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আদি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, উৎসব এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য ধারাবাহিক কাজের আহ্বান জানানো হয়।
মিলনমেলা অনুষ্ঠানে পঁচিশটিরও বেশি সংগঠনের প্রভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
//এল//