সংগৃহীত ছবি
দেশের সংগীত অঙ্গন স্তব্ধ জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে। ঠিক তখন শোক আরও ঘনীভূত করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। দেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন গায়ক।
আজ মঙ্গলবার ১১.৫৩ মিনিটে মারা যান জুয়েল। সংবাদমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে শিল্পীর পারিবারিক সূত্র।
এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই জানিয়েছেন তার মৃত্যুর খবর। সাংবাদিক ও চিত্রনাট্যকার রুম্মান রশীদ খান নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, জুয়েল ভাই ভালো থাকবেন। নাট্যনির্মাতা সকাল আহমেদও গায়কের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন ফেসবুকে।
ক্যানসারের রোগী ছিলেন জুয়েল। গত ২৩ জুলাই রাতে বাসায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। এরপর চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে নেন। রাখেন ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে।
১১ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল।
জুয়েলের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তাঁর জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
জুয়েলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে তাঁর লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যানসার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। গত অক্টোবর থেকে জুয়েলকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে সম্প্রতি তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরের মঙ্গলবার, অর্থাৎ আজ চিরবিদায় নিলেন এই শিল্পী।
১৯৯২ সালে বের হয় জুয়েলের প্রথম গানের অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’। তারপর থেকে প্রায় নিয়মিত বের হতো তার গানের অ্যালবাম। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘এক বিকেলে’। তার অনেক গান সুর করেছিলেন প্রয়াত ব্যান্ডতারকা আইয়ুব বাচ্চু।
জুয়েলের অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটা মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ‘ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’, ‘এমন কেন হলো’। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাপ্পা মজুমদারের সুরে মুক্তি পায় জুয়েলের একক গান ‘খুব সকালে’।
//এল//