
ছবি সংগৃহীত
ছয় দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে টানা শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’। ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে এই শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হবে এবং শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তা চলমান থাকবে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমেদ স্বাক্ষর করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, "ছয় দফা না মানা হলে চলবে মৃত্যু পর্যন্ত আন্দোলন।" সেই সঙ্গে দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোনো রূপরেখা না দিলে দেশের প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি:
১. পদোন্নতি ও নিয়োগ নিয়ে সংস্কার: জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির হাইকোর্টের রায় বাতিল, পদবি পরিবর্তন এবং সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুতির দাবি। ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগ বিধিও বাতিল করতে হবে।
২. চার বছর মেয়াদি কোর্স চালু রাখা: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছরই থাকবে এবং সিলেবাস আধুনিক বিশ্বের অনুকরণে প্রস্তুত করতে হবে।
৩. দশম গ্রেডে পদ সংরক্ষণ ও বেতন নির্ধারণ: উপসহকারী প্রকৌশলী পদে শুধু ডিপ্লোমাধারীদের সুযোগ দিতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যূনতম বেতন ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি।
কারিগরি শিক্ষা সংস্কার: কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটির মাধ্যমে পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষসহ সব দায়িত্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগের দাবি।
৫. নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন: বিতর্কিত নিয়োগ বিধিমালা বাতিল করে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
৬. উচ্চশিক্ষা প্রসারে ব্যবস্থা: ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেজেট পাস এবং প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন নিশ্চিত করার দাবি।
এর আগেও একাধিকবার দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। তবে এবারের কর্মসূচিকে আন্দোলনকারীরা 'শেষ যুদ্ধ' হিসেবে উল্লেখ করছেন।
ইউ