
ফাইল ছবি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কুয়েট সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে সংঘটিত এক সহিংস হামলায় একাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনাটিকে শিক্ষার্থীরা ‘পরিকল্পিত ও বর্বর’ আখ্যা দেন এবং দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলস্বরূপ অনেক নির্দোষ শিক্ষার্থী শাস্তির সম্মুখীন হন, আর প্রকৃত দোষীরা রয়ে যান আইনের বাইরে।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৪ এপ্রিল এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে এবং শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। যদিও ১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ শুরু করেন এবং উপাচার্যের অপসারণসহ এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এর অংশ হিসেবে ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হয় আমরণ অনশন।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিন্ডিকেট সভায় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ একটি অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, ‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। যারা প্রকৃত অপরাধী, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং নির্দোষদের প্রতি কোনো অবিচার হবে না। শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনতেই এ সিদ্ধান্ত।’
তিনি আরো বলেন, ‘বহিষ্কার আদেশ ও মামলার বিষয়গুলো পুনর্মূল্যায়নে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২৫ ফেব্রুয়ারির পর কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ছিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২ মে আবাসিক হল এবং ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে।
ইউ