ফাইল ছবি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে তারা বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাবেক সাংসদ আলহাজ সালাউদ্দিন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই কমিটির নেতৃবৃন্দ ও অধ্যক্ষের সামনেই ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময় অধ্যাপকদেরকে জুতা দিয়ে মারধর করেছেন।
স্থানীয় খান মোহাম্মদসহ আরো কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর ২৪ আগস্ট এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. মো. নুর এ আলমের নামে সোনারগাঁও থানায় মামলা হয়েছে। একই ওয়ার্ডের বিএনপি কর্মী মো. রফিকুর ইসলাম রফিক ওরফে চোরা রফিকের এবং তার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী মো. তাজুল ও ঢাকা-৫ আসনের বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবীর সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের পুরাতন কমিটিকে বহাল রেখেছে। এই বিষয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভেরিফাইড পেজবুকে খান মাহমুদ নামে একজন অভিযোগ করে লিখেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর চোরা রফিক যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেছে। খুব অল্প সময়ে চুরি, লুটপাট ও চাঁদাবাজি করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
৫ আগস্টের পর পরেই নিজে দাড়িয়ে থেকে ৬৯ ন্মবর ওয়ার্ডের সব চুরি ও লুটের প্রধান নেতৃত্ব দিয়েছেন এই চোরা রফেক।
যার মধ্যে সব থেকে বেশি চুরির মাল থেকে আয় করেছেন আহম্মেদ বাওয়ানী মিল থেকে।
ভিতরে ট্রাক ঢুকিয়ে লাখ লাখ টাকার পণ্য লুট করেছেন মোট ২ দিনের পরিশ্রমে।
২ দিনের চুরির মাল থেকে মোট ২৬ লাখ টাকা বিক্রি হয়, যেটা চুরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তির থেকে জানা যায়।
এই চুরির খবর দলের কয়েকজনের কাছে জানাজানি হলে রফিক তাদের কয়েক লাখ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নেয়। আর যারা চুরিতে সরাসরি সহেযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে প্রধান কয়েকজনকে ১ লাখ টাকা করে দিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টা করে।’