ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ২২ জানুয়ারি ২০২৫

English

অর্থনীতি

বাণিজ্য মেলায় ই-টিকেটিং: গ্রাহকবান্ধব ব্যবস্থাপনা জরুরি

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ১১ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৮:০১, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

বাণিজ্য মেলায় ই-টিকেটিং: গ্রাহকবান্ধব ব্যবস্থাপনা জরুরি

ছবি সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা জমে উঠেছে। প্রথমবারের মতো ডিজিটাল সুবিধা হিসেবে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করায় দর্শনার্থীদের মধ্যে এক ধরনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। ঘরে বসেই টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশের এই নতুন ধারণা মানুষকে দীর্ঘ লাইনের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হলেও বাস্তবে তা অনেককে ভোগান্তিতে ফেলছে।

মেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ই-টিকেটিং ব্যবস্থা নিয়ে দর্শনার্থীরা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। কেউ সার্ভার সমস্যার কারণে টিকিট কাটতে পারছেন না, আবার কেউ মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যায় আটকে যাচ্ছেন। এদিকে, অনেকেই এখনো ডিজিটাল ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত না হওয়ায় তাদের অনলাইনে টিকিট কাটার দক্ষতার অভাব নতুন করে সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।

মেলায় টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ডিজি ইনফোটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি প্রথমবারের উদ্যোগ হওয়ায় কিছু সীমাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীর চাপ বাড়ায় সার্ভার সমস্যাও প্রকট হয়ে উঠছে। তবে তারা এ পরিস্থিতি সামাল দিতে বুথের সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

মেলায় আগত দর্শনার্থীদের অভিযোগ, ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করা হলেও পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সহায়তার অভাব স্পষ্ট। বিশেষ করে মোবাইল নেটওয়ার্কের ধীরগতি অনেকের জন্য আরও সমস্যা তৈরি করছে। এ কারণে অনেকেই শেষমেশ কাউন্টারে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে বাধ্য হচ্ছেন।

দর্শনার্থী ইয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘পরিবার নিয়ে এসেছিলাম। ভিড় দেখে ভেবেছিলাম অনলাইনে টিকিট কেটে সময় বাঁচাব। কিন্তু সার্ভার সমস্যা আর নেটওয়ার্কের ধীরগতির কারণে সেটি সম্ভব হলো না।’ অন্যদিকে, আহসান মাহমুদ নামের একজন জানান, অনলাইনে টিকিট কাটতে না পারায় মেলার গেটে গিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে প্রবেশ করতে হয়েছে।

এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, মেলা কর্তৃপক্ষ ও মোবাইল পরিষেবা কোম্পানিগুলোর সমন্বয়হীনতায় কী দর্শনার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন! মোবাইল নেটওয়ার্কের স্লো স্পিড বা সার্ভার সমস্যার মূলে কোনো অব্যবস্থাপনা বা দুর্নীতি রয়েছে কী না, তা খতিয়ে দেখা দরকার!

এই ধরনের পরিস্থিতি সমাধানে মেলা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত সংশোধন করতে হবে এবং সার্ভার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত আপগ্রেড নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়া, মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে মেলা এলাকায় অস্থায়ী নেটওয়ার্ক স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

সেইসঙ্গে, দর্শনার্থীদের অভিযোগ জানানোর সহজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যার সমাধানে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। দর্শনার্থীদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা গেলে এই মেলা তাদের জন্য সত্যিকার অর্থেই একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতায় পরিণত হবে।

ইউ

গদখালির ফুল চাষিদের ব্যস্ততা

‘সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে’ 

রাজধানীর ১৯ খাল পলিথিনে ভরে গেছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা 

পুলিশের সব ইউনিটে থাকবে একই পোশাক

চরমোনাই পীরের বাড়িতে গেলেন জামায়াতের আমির

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউএন উইমেনের ৪.৮ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে কাউন্সিল গঠন: অধ্যাদেশ জারি

বিস্ফোরক মামলায় জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ আসামির তালিকা প্রকাশ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী সরকারের নতুন পদক্ষেপ 

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

তৃণমূলের মানুষের অজেয় উত্থান প্রত্যাশী

তামাকমুক্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু 

প্রধান উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন

‘অপরাধীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে’ 

দিনে ৪১ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়