সংগৃহীত ছবি
আন্তর্জাতিক বাজারে গত কিছুদিন ধরেই স্বর্ণের দাম কমছিল। তবে আবারও বাড়তে শুরু করেছে ধাতুটির দাম। এর প্রভাবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছিল ২ হাজার ৬২৯.৬৭ ডলারে। প্রতি আউন্সের দাম একদিনে ২০.৫৪ ডলার বা শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে।
ডলারের দাম কিছুটা কমার কারণে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের জন্য বাজার অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে সুদের হার নিয়ে নতুন কোনো ইঙ্গিত পাওয়ার জন্য। মূলত ডলার দুর্বল হলে বিদেশি ক্রেতাদের জন্য স্বর্ণ কিছুটা সস্তা হয়ে যায়।
আইজি মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট ইয়্যাপ জুন রং বলেন, স্বর্ণের দাম কিছুটা পুনরুদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বর্ণের বাজারে সাম্প্রতিক বড় বিক্রির পর কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ডলারের কিছুটা দুর্বলতার কারণে স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কম দমনমূলক বক্তব্য আশা করা যাচ্ছে। কারণ, তারা জানুয়ারিতে সুদের হার বজায় রাখার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেন। এই পরিস্থিতি স্বর্ণের বাজারে কিছু অপ্রত্যাশিত প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বাড়ছে, এতে যেকোনো সময় দেশেও প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। তাই যেকোনো সময় দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় করা হতে পারে।
সবশেষ গত ১৪ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সেবার বিশ্ববাজারে দাম নিম্নমুখী থাকায় টানা ৪র্থ বারের মতো দাম কমানো হয়েছিল।
ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা কমিয়ে সেদিন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েচিল। যা গত ১৫ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।
//এল//