ছবি সংগৃহীত
জ্বালানিসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া সব ধরনের চুক্তির কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের নাজিয়া সালমা সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিবেদন তৈরি করতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এদিন সরকারি ২৪ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, সব ধরনের চুক্তি, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর মূল চুক্তির কাগজ চাওয়া হবে এবং খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক চাপে সরকারি কর্মকর্তারা সঠিক তথ্য দিতে অসহায় ছিলেন (পারতেন না)। ফলে তারা বাধ্য হয়েই যে কোনো সরকারি প্রাক্কলন করতেন। যারা ভয়ে বা চাপে এতদিন সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তাদের বলা হয়েছে, এখন সময় এসেছে সে সুযোগ কাজে লাগান।
'আজ আমাদের মূল কাজটা ছিল, যেসব তথ্য-উপাত্ত বিবেচনায় নেওয়া হয় এবং সেই বিবেচনাগুলো নিয়ে সরকারের ভেতরে যারা তথ্য-উপাত্তকে সৃষ্টি করেন, পরিবেশন করেন, মূল্যায়ন করেন, সেই সসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করা,' যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় বলেন, আমাদের দিক থেকে যেসমস্ত চাহিদা আছে জানার তা হলো– তথ্য উপাত্তের হালনাগাদ পরিস্থিতি কী আছে? উনাদের কাছে এমন কিছু আছে কিনা যেগুলো এতদিন উনারা প্রকাশ করতে পারেন নাই এবং আগামীতে তথ্য-উপাত্ত সঠিকভাবে দেওয়ার জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে সেগুলো সম্পর্কে যদি তাদের কোনও পরামর্শ থাকে সেগুলো আমরা শুনেছি।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা মোটা দাগে পেয়েছি, যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া বিভিন্ন প্রাক্কলনের বস্তুগত ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল ছিলো। অনেক সময় যারা প্রাক্কলন তৈরি করেছেন তারা অসহায়বোধ করেছেন, ওই প্রাক্কলন দিতে বাধ্য হয়েছেন। এই কথাটা অনেক বড়ভাবে এসেছে। দুই মাস পর শ্বেতপত্র লেখা হলে সব বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
দেবপ্রিয় বলেন, আজ বিকালে আমরা মূলত দুটি তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো। একটা হলো জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধির হিসাব কীভাবে হয়েছিল। দ্বিতীয় হলো- মূল্যস্ফীতির হিসাব কীভাবে হয়। এই দুটো বিষয়কে স্যাম্পল হিসেবে গভীরে গিয়ে দেখার ব্যবস্থা করেছি।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি কোনো সংস্কার কর্মসূচি নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বরং দেশের অর্থনীতির জিরো পয়েন্ট খুঁজে বের করার কাজ চলছে৷ যেখান থেকে সংস্কার শুরু করা যাবে।
ইউ