ঢাকা, বাংলাদেশ

রোববার, ভাদ্র ২৪ ১৪৩১, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

English

অপরাধ

৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে চীনা প্রতারক চম্পট 

সুকুমার সরকার

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে চীনা প্রতারক চম্পট 

প্রতীকী ছবি...

চীনের এক নাগরিক প্রতারণা করে করে বাংলাদেশের ৯৯১ ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার দেশে চম্পট দিয়েছে। সফটওয়্যার ব্যবসার নামে চীনা নাগরিক কেভিন চেন (৪০) বাংলাদেশে অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান খুলে এই প্রতারণা করে। অভিযোগের পর মামলার তদন্তে নেমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এক চীনা নাগরিকসহ ১২ জনকে শনাক্ত করে। তাদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পালিয়ে যান চক্রের হোতা কেভিন।

প্রতারণাচক্রের শিকার স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবু তালহা প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতেন।গত বছরের অক্টোবরে তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি লিংক আসে। সেই লিংকে ঢুকে একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান তিনি। চটকদার সেই বিজ্ঞাপনে বলা ছিল, ‘বরগাটা’ নামের একটি অ্যাপ নামিয়ে সেখানে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে দৈনিক ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করুন। ’বিজ্ঞাপনটি দেখে ধাপে ধাপে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তালহা। এর তিন মাস পর টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় অ্যাপভিত্তিক ওই প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনার পর আবু তালহা বাদী হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজধানী ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তে নেমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তদন্তের শুরুতেই মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের (এমএসএফ) একটি ‘মার্চেন্ট’ অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া যায়। সেই অ্যাকাউন্টের লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাত্র ১৪ দিনে অ্যাকাউন্টে ২৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। অস্বাভাবিক এই লেনদেনের সূত্র ধরে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পারেন, এ বি সিদ্দিকী নামের এক ব্যক্তির নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। তবে অ্যাকাউন্ট খোলার এক মাস আগেই মারা গেছেন মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা এ বি সিদ্দিকী। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর—এই ছয় মাসে ‘টিএনএস’ ও ‘বরগাটা’ নামে দুটি অ্যাপ বানিয়ে মোট ৯৯১ ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কেভিন ও তার সহযোগীরা। 

সিআইডি সূত্র জানায়, মৃত ব্যক্তির নামে ‘মার্চেন্ট’ অ্যাকাউন্ট খুলে সেটি ব্যবহার করছিলেন চিনী নাগরিক কেভিন। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে নতুন নতুন অ্যাপ বানিয়ে ঋণ ও বিনিয়োগের ফাঁদে ফেলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন কয়েক বাংলাদেশি নাগরিক। 

সিআইডি  জানায়, তিন বছর আগে বাংলাদেশে এসে কেভিন ‘পিসেস টেকনোলজি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। নতুন নতুন অ্যাপ খুলে ছয় থেক এক বছর চালাতো। বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করার পর সংশ্লিষ্ট অ্যাপটি বন্ধ করে দিত। আবার নতুন অ্যাপ চালু করত। এভাবে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে কেভিন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা রয়েছে। শুরুতে কয়েক দিন কিছু টাকা লাভ পেয়েছিলেন উল্লেখ করে আবু তালহা জানান, পরে ধাপে ধাপে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করে। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করা ছিল। গত বছরের ডিসেম্বরের দিকে এসে অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায়। কোম্পানি বিনিয়োগ করে সমস্যায় পড়েছে জানিয়ে তিন-চার দিন পর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আরেকটি বার্তা আসে। এতে বলা হয়, যারা আজকের মধ্যে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন, তারা আগের টাকাসহ ফেরত পাবেন। আশ্বস্ত হয়ে নতুন করে আবার বিনিয়োগ করে। পরে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন প্রতারক চক্রের সদস্যরা। সিআইডি জানায়, ৯ জনকে গ্রেপ্তারের পর কিছু ডিজিটাল ডিভাইস ও এমএসএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর জব্দ করা হয়। অ্যাপ দুটিতে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছিলেন কেউ কেউ।

এদিকে গুগলে কয়েকটি শব্দ লিখে মাউসে ক্লিক করলেই বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য। শত শত মানুষের নাম, ঠিকানা, মুঠোফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর। কোথাও কোথাও থাকছে জন্মনিবন্ধন নম্বর এবং ছবিও। দেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত এসব তথ্য এভাবে উন্মুক্ত রয়েছে সরকারি ওয়েবসাইটে। সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে ‘লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হওয়ার খবরের’ মধ্যে দেখা যাচ্ছে, শুধু ওই একটি ওয়েবসাইট নয়, নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত করে রেখেছে সরকারের আরো অনেক ওয়েবসাইট। এসব ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো অপরাধীদের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরাধীরা মানুষের কী ক্ষতি করতে পারে, তার উদাহরণ হতে পারেন সরকারের পাঁচজন কর্মকর্তা। 

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে অনুদান পেয়েছিলেন। এ রকম অনুদান পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা ওই প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটে তুলে দেয়, যেখানে নামসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ছিল। অপরাধীরা সেই তালিকা সংগ্রহ করে অনুদান পাওয়া কর্মকর্তাদের ফোন করে এবং আরো অনুদান দেয়ার কথা বলে ব্যাংক কার্ডের তথ্য নেয়। এরপর জালিয়াতি করে পাঁচজনের কাছ থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

ইউ

মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধ-ড্রোন-রকেট হামলায় নিহত ৬

ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের নতুন নির্দেশনা

লঘুচাপ নিয়ে আবহাওয়ার সতর্কবার্তা, বন্দরে সংকেত

কেন হিন্দু কর্মকর্তাদের নামের তালিকা, জানাল পাট মন্ত্রণালয়

বিএসএমএমইউতে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ

বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, সাত দিনে ১২ জনের মৃত্যু

রবিবার থেকে অবকাশকালীন সূচিতে চলবে সুপ্রিম কোর্ট

সংস্কার চেয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘকে শিল্পীদের আল্টিমেটাম

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে হামলার হুমকি, যা জানাল বিসিবি

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে যে মন্তব্য করলেন নুর

আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ প্রবাসী ফিরবেন সন্ধ্যায়

প্রতীকী বিষপান কর্মসূচিতে ১৫ নার্সিং শিক্ষার্থী অসুস্থ 

সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না, বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ দাবিতে শাহবাগ অবরোধ