ফাইল ছবি
রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার দক্ষিণ চেংমারী গ্রামে স্বামীর দ্বারা গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ করে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বুধবার (৮ জানুয়ার) গণমাধ্যম পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
৮ জানুয়ারি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাতে বলা হয়, পূর্ব নবনীদাস গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে, দক্ষিণ চেংমারীর এক গৃহবধূ তার স্বামী রুবেল মিয়ার অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযুক্ত স্বামী প্রায়ই গৃহবধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন এবং টাকার জন্য তাকে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করতেন।
বিবৃতিতে বলায় হয়, গত ২৫ ডিসেম্ব রুবেল মিয়া গৃহবধূকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে এসে মারধর করেন এবং এসিড নিক্ষেপ করে তার শরীর ঝলসে দেন। স্থানীয়দের সহায়তায় গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ১২ দিনের চিকিৎসার পর গত ৬ জানুয়ারি, তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা উল্লেখ করেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা নারী ও শিশুর নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। বিশেষ করে এসিড সন্ত্রাসের মতো ঘটনা, যা পূর্বে কিছুটা কমেছিল, তা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
মহিলা পরিষদ দাবি জানিয়েছে, এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০২ (সংশোধিত ২০১০), এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০০ এবং পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০ এর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তারা আরও বলেন, অভিযুক্ত রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এলাকাভিত্তিক ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে সক্রিয় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানায়।
ইউ