ফাইল ছবি
যাত্রীবাহী বাসে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতকে দ্রুত গ্রেফতার করে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে ১৪ মে’র বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের বরাতে বলা হয়, যশোর থেকে চৌগাছাগামী যাত্রীবাহী বাসে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মে রবিবার যশোর থেকে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী চৌগাছাগামী লোকাল বাসে ওঠে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। চুড়ামনকাটি থেকে মাসুদ নামে এক যুবক ওই বাসটিতে ওঠে। এরপর মাসুদ ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়ায়। একপর্যায়ে মাসুদ ওই ছাত্রীর শরীরে হাত দিয়ে তার শ্লীলতাহানি করে। আশেপাশের যাত্রীরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ওই ছাত্রী ক্যাম্পাসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
রাস্তাঘাটে যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী, নারী ও কন্যাশিশুরা যৌন হয়রানি ও যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি বিবৃতিতে বলেছে, এসব ঘটনায় নারী ও কন্যার রাস্তাঘাটে স্বাধীন চলাচলের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে এবং তাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলছে।
এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে বাস মালিক সমিতি, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে এসব ঘটনা গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সেইসঙ্গে সংগঠনটি উত্যক্তকরণ, যৌন নিপীড়ন বন্ধে ২০০৯ সালের মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছে।
পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতকে দ্রুত গ্রেফতার ও ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে নারীবাদি সংগঠনটি। নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
ইউ