ফাইল ছবি
একটা দেশ, যে দেশের সেলিব্রিটি মায়েরা কাজ পাবেনা মানে নিজের কাজের জায়গা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেনা বলে অনিশ্চিয়তায় ভুগতে ভুগতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আনন্দ শেয়ার করে উপভোগ করতে পারেনা, লুকিয়ে যেতে হয়, গোপন রাখতে হয় ! সেই আনন্দ পরিণত হয় ‘ভয়ে’। আনন্দ গোপন রাখার আবেগ অনুভূতির কষ্ট ফেঁপে উঠতে থাকে আগ্নেয়গিরির লাভার মতো। পরিশেষে এর পরিণামের ভার গিয়ে পরে সন্তানের উপর। আহ্ !
তবে সামাজিক এবং পারিবারিকভাবে একধরনের অদৃশ্য বদ্ধ চাপ থাকে, যা ধারন করা এবং সেটার থেকে সাধারণ ঘরের মেয়েরা বেড়িয়ে আসতে পারে না, সেই সাহস নেয়ার সামাজিক সিস্টেম নেই। ( যেমন বিয়ের আগে দৈহিক সম্পর্ক হয় বেশীর ভাগ মানুষেরই কিন্তু সন্তান হলে সেটির নাম দেয়া হয় ‘পাপ’, সন্তান হতে হবে ‘শালীন’ ভাবে ?, অর্থাৎ বিয়ে নামক একটা কাগজে স্বাক্ষর করলেই সব জায়েজ?? একটা নিস্পাপ শিশুর সাথে কতধরনের মানুষের বানানো সামাজিক তকমা!)
সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপট কারণ সবার কাছে অপসন থাকে না । কিন্তু আপনাদের, যারা শিক্ষিত বলে দাবি করেন, তাদের ??
হ্যা এটা সত্যি, কেউ কারোর যাপিত জীবনযাপন করেনা, কারোর জীবনের যুদ্ধ, কষ্ট কোনোটাই অন্যরা টের পায়না কিংবা মাপতে পারেনা, তবে যে যার যার জায়গায় বসে অবলীলায় বিচার করে ফেলে, এটা সত্যি অন্যায়।
তবে নিজ জীবনের দিক নির্দশনার হাল ধরার ক্ষমতা যদি হারিয়ে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তুলে দেয়, তখন কোনো একাডেমিক নানান শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আর লাভ কি?
মা হিসেবে আমি সবসময় একটাই পার্থনা করি উপরওয়ালার কাছে, আমি যেনে শাররিকভাবে সুস্হ থাকি, যতদিন আমার হাত-পা সচল থাকবে আমার সন্তানেরা না খেয়ে থাকবে না। বাকিসব কিছু আসবে যাবে।
আমার থেকে শিখেন কিছু।
ইউ