সংগৃহীত ছবি
তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। কারণ নানাভাবে অপতথ্য কিংবা ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়টি এখন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করেই প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা উচিত। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মী, অ্যাক্টিভিস্ট, মানবাধিকারকর্মীদের আরও বেশি সচেতন হওয়া দরকার। সেজন্য এ সংক্রান্ত দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেল সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকারকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত দিনব্যাপী এক কর্মশালায় বক্ত্যরা এসব কথা বলেন।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় আর্টিকেল নাইনটিনের উদ্যোগে ‘এমপাওয়ারিং জার্নালিস্ট, অ্যাকটিভিস্ট এন্ড এইচআরডি টু আইডেন্টিফাই ফ্যাক্ট ফ্রম ফেক’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অপতথ্য বা ভুল তথ্য প্রতিহত করা এবং মিডিয়া লিটারেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষ করে তোলাই এই কর্মশালার উদ্দেশ্য। দিনভর এই কর্মশালায় অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক, এক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকারকর্মী সহ ৩০ জন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং বাংলাদেশও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। বিশেষ করে অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্যের উৎস ও মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে এ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা নানা ধরনের নেতিবাচক ও স্পর্শকাতর ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রচার, গুজব, ফেক বা ভুঁয়া তথ্যের ব্যবহার, উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার ইত্যাদি। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারিসহ মানবাধিকারকর্মীদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, গুজব, ভুয়া তথ্য বুঝা ও শনাক্তকরণে দক্ষ ও সচেতন করে তুলতে এই কর্মশালার আয়োজন।
আর্টিকেল নাইনটিন একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যে যাত্রা শুরুর পর সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সংস্থাটির কার্যক্রম শুরু হয় ২০১২ সাল থেকে।
//এল//