ছবি সংগৃহীত
ময়মনসিংহ জেলার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কর্তৃক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদের বিবৃতি। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর স্বাক্ষর করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহা ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় নানা ধরণের ম্যাসেজ দিতো। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ম্যাসেজগুলোকে স্নেহের সাথে দেখতো বলে কাউকে কিছু বলেনি। ২৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখ রাতে অভিযুক্ত অধ্যাপক ওই শিক্ষার্থীকে নানা আপত্তিকর ম্যাসেজ পাঠায় এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকের অনৈতিক প্রস্তাবে প্রত্যাখান করায় পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখিয়ে জরিমানা নেয়, পরীক্ষার খাতায় কম নম্বর দিতে থাকে এবং থিসিস পেপার আটকায় দেয়।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্বাবিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন হয়রানি মত সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে উল্লেখ করে এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনে নানা প্রভাব পড়ছে। একদিকে যেমন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরাধে শিক্ষামন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের আলোকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটি গঠন এবং গঠিত কমিটি যথাযথভাবে কাজ করছে কী না তা মনিটরিং করার বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইউ