ছবি: ‘মনের বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা তৌহিদা শিরোপা...
ভোগ বিজনেসের ১০০ উদ্ভাবকদের তালিকায় ‘সাস্টেইনবিলিটি থট লিডার’ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেলেন ‘মনের বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা তৌহিদা শিরোপা।
২০১৬ সালে ‘মনের বন্ধু’র যাত্রালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি পোশাক শ্রমিক নারী ও তরুণদের জন্য সাশ্রয়ী এবং সুলভ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি আশার আলোকবর্তিকায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি-পোশাক শিল্পকে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে মনের বন্ধু ও বিজিএমইএ’র পার্টনারশিপ। এ পার্টনারশিপের আওতায় দেশের ৫০টি পোশাক কারখানায় মানসিক সেবা প্রদান করেছে মনের বন্ধু। এছাড়াও কোভিড ১৯ মহামারীর সময়ে ২৪ ঘন্টা হেল্পলাইন সেবা, বিনামূল্যে ভিডিও ও টেলি কাউন্সেলিং সেবাসহ মনের বন্ধুর বিভিন্ন উদ্যোগ সমাজের সর্বস্তরে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করেছে।
তৌহিদা শিরোপা শুধু মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতাই নন, তিনি বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিশেষ করে নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও পরিপূর্ণ সুস্থতা নিশ্চিত করার কাজে একজন অগ্রদূত হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে মনের বন্ধু বাংলাদেশের অসংখ্য পোশাক শ্রমিক, নারী ও তরুণসহ পিছিয়ে পড়া সামাজিক জনগোষ্ঠীকে কম খরচে সহজলভ্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। এই বৈশ্বিক সম্মাননা পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানাতে যেয়ে তৌহিদা শিরোপা বলেন, ‘ভোগ বিজনেস ১০০ উদ্ভাবকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া অবশ্যই আমার জন্য এক ভীষণ সম্মানের বিষয়। বাংলাদেশের নাম, মনের বন্ধু ও স্টার্টআপকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তবে সেইসাথে আমি মনে করি, মনের বন্ধু বাংলাদেশের তৈরি-পোষাক শিল্পে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ভিত্তি তৈরি করেছে, এ স্বীকৃতি সে পরিবর্তনকে আরো গতিশীল করবে।’
বিশ্বব্যাপী যারা ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে স্থিতিশীলতা ও সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করে, ভোগ বিজনেস প্রতি বছর ‘১০০ উদ্ভাবকদের তালিকা’ প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অবদানকে সম্মাননা জানায়। চলতি বছরের তালিকাটিও সেই সব নিরলস এবং দূরদর্শী - উদ্যোক্তা, কর্মী, সংগঠক এবং ডিজাইনারদের প্রতি এক স্বীকৃতি।
তৌহিদা শিরোপা এবং মনের বন্ধু এই স্মরণীয় স্বীকৃতির জন্য ভোগ বিজনেস এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এই স্বীকৃতি ফ্যাশন শিল্পের সীমানা ছাড়িয়ে আরো নানা ক্ষেত্রে নতুনত্ব ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে এবং যারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন তাদেরকেও অনুপ্রাণিত করবে।
ইউ