কুমুদীনি হাজং
বৃহত্তর ময়মনসিংহের সুসং জমিদারি এলাকায় টংক প্রথার প্রচলন ছিল। ফসল হোক বা না হোক, নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান খাজনা হিসেবে জমিদারকে দিতে হত তখন। ১৯৩৭ সালে শোষিত কৃষকেরা এ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন, যা টংক আন্দোলন নামে পরিচিত। নেত্রকোণার দুর্গাপুর সীমান্তবর্তী বহেরাতলীর গ্রামের কুমুদিনী হাজং টংক আন্দোলনের একজন অন্যতম নেত্রী।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বৃটিশ বিরোধী টঙ্কো আন্দোলনের মহীয়সী নারী নেত্রী কুমুদীনি হাজংয়ের সঙ্গে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাৎ করেন ও তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। কুমুদীনি হাজংয়ের নিজ বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ফরিদা ইয়াসমিন তাকে আর্থিক সহযোগিতাসহ শীতবস্ত্র উপহার দেন। ফরিদা ইয়াসমিনকে কাছে পেয়ে কুমুদীনি হাজং আবেগাপ্লুত হয়ে বৃটিশ বিরোধী জমিদার প্রথা ও আন্দোলনের স্মৃতি চারণ করেন।
বৃটিশ জমিদারের নির্যাতনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বার বার তার দু’চোখ জলে ছলছল করে। কিন্তু কান্নাকে চেপে সেই সব দিনগুলি বর্ণনা করেন। বয়সের ভারে ন্যুয্য হয়ে পড়লেও মনের দিক থেকে তিনি এখনো চিরসবুজ। চলাফেরা করেন একাই। যদিও চোখের দৃষ্টি, কানের শ্রবণ শক্তি কমে এসেছে তার।
এক প্রশ্নের জবাবে কুমুদীনি হাজং খুবই ধীরে ধীরে বলেন, বৃটিশ সরকারের নির্ধারিত জমিদার প্রথা ও টঙ্কো আন্দোলনের বিরুদ্ধে এঞ্চলের নৃ-তাত্বিক হাজং সম্প্রদায় কমরেড মনিসিংহের নেতৃত্বে দূর্বার আনন্দোলন গড়ে তুলেন। আন্দোলনে স্বামী লঙ্কেশ্বর সঙ্গে তিনিও যোগদেন।
হাজং এলাকায় কৃষক বিদ্রোহ দমনকারী বৃটিশ মিলিটারিদের হাত থেকে কৃষক বধূ সরস্বতী ‘কুমুদীনি হাজংকে’ বাঁচাতে গিয়ে হাজং মাতা রাশিমনি হাজংয়ের দায়ের আঘাতে একজন বৃটিশ সৈন্যের দেহ মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এই মৃত্যুর দৃশ্য দেখে বৃটিশ সৈন্যরা রাসিমনি হাজংকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন হাজং মাতা রাশি মনি। সেই সঙ্গে বহেরারতলী গ্রামে হাজং বিদ্রোহে শঙ্খমণি, রেবতী, নীলমণি, পদ্মমণিসহ আরো অনেক শহীদের রক্তে সবুজ ঘাস ফসলের জমি রক্ত রাঙা হয়ে উঠে।
বর্তমানে তার কেউ খোঁজখবর রাখছেন কীনা এমন প্রশ্নের জিজ্ঞাসায়কুমুদিনী হাজং জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তার খোঁজ খবর রাখছেন বলে জানান। স্থানীয় প্রশাসন প্রতিমাসে তার জন্য চাল, ডাল-তেল পিয়াজ আদা রসুনসহ ফল দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় মাছ মাংস দুধের জন্য টাকা ও দিচ্ছেন।
কুমুদীনি হাজং বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি হাফ বিল্ডিং ঘর ও করে দিয়েছেন। এর পূর্বে দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনও তাকে একটি (ফ্লোর পাকা) টিনের ঘর করে দিয়েছিলেন।’ এসময়ে কুমুদীনি হাজং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বৃটিশ বিরোধী জমিদার প্রথা ও আন্দোলনের স্মৃতি চারণ করেন।
কুমুদীনি হাজংয়ের ব্যাপারে স্থানীয় সাবেক এম পি মোস্তাক আহমেদ রুহী বলেন, ‘আমাদের জন্মের বহু পূর্বের ইতিহাস টঙ্কো আন্দোলন।’ তিনি বলেন, ‘শুনেছি বহেরা তলী গ্রামের সেই ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করতে ভারতের সাবেক মুখ্যোমন্ত্রী জ্যোতি বসু, ব্যারিস্টার স্নেহাংশুকান্ত আচার্য, গারো পাহাড় অঞ্চলের হাজং অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে আসেন। কিন্তু তৎকালীন ময়মনসিংহের জেলার বৃটিশ সরকার দ্বারা নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট ব্যাস্টিন তাদের বহেরাতলী গ্রামে প্রবেশ করতে দেননি, বলে শুনেছি। সাবেক এই এমপি আরো বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে হাজংনেতা সুরেন্দ্রনাথ টঙ্কো আন্দোলনে মারা যান।’
সাবেক এমপি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এই খবর পেয়ে চতুর্দিক থেকে কৃষক জনগণ বৃটিশ পুলিশ বাহিনীকে ঘিরে ফেলে, তারা তীর ধনুক নিয়ে বৃটিশ পুলিশকে ঘিরেফেলে এবং আক্রমণ করে। সেই সংঘর্ষে দুইজন বৃটিশ পুলিশ মারা যায় ও অন্যান্যরা পালিয়ে যায় আজকের মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা বাজার দিয়ে,পাহাড় টিলা অতিক্রম করে ভারতে। কুমুদিনী হাজং নৃ-তাত্বিক সম্প্রদায়ের একজন বাংলাদেশী। কুমুদীনি হাজংকে নিয়ে ১৯৯১ সালে খন্দকার শাহীন আফরোজ দৈনিক ইত্তেফাকের মহিলা অঙ্গণে, পরবর্তীতে মাতৃভুমিতে টঙ্কো আন্দোলন ও কুমুদীনি হাজংকে নিয়ে লিখেন। জনশ্রুতি রয়েছে একসময় গারো পাহাড়ের এই অরণ্য সম্পদের দিকে দৃষ্টি পড়ে ব্রিটিশ বণিকদের। গারো পাহাড় অঞ্চলের ওপর তারা তাদের মালিকানার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ নিয়ে জমিদারদের সঙ্গে চলে মামলাও।’
‘মামলায় সুবিধা করতে না পেরে ব্রিটিশরা প্রিভী কাউন্সিলের দ্বারস্থ হয়। সেখানেও হার মানতে হয় তাদের। অতঃপর কৌশলে ১৮৬৯ সালে তারা গারো পাহাড় অ্যাক্ট প্রণয়ন করে। পরে এই অ্যাক্টের জোরেই সমস্ত গারো পাহাড় অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারভুক্ত হয়ে যায়। পাহাড় অঞ্চলের নানা সম্পদও তখন জমিদারদের হাতছাড়া হয়ে পড়ে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সুসং জমিদারদের নজর পড়ে প্রজাদের জমির ওপর।’
‘সুসংয়ের জমিদার খাজনার নতুন বিধান জারি করে। তবে প্রচলিত ব্যবস্থা থেকে সেটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। ১৮৯০ সালে ঘটে যাওয়া এই বিদ্রোহ নিয়ে খুব একটা তথ্য ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে ওই সংগ্রামই পরবর্তী বিদ্রোহগুলোর প্রেরণা জুগিয়েছিল। হাজং সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার আদায়ে সংগঠিত হয় টঙ্ক আন্দোলন, যা ছিল ব্রিটিশ-ভারতের সর্বশেষ গণআন্দোলন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার গারো পাহাড়ের পাদদেশে সুসং-দুর্গাপুর এলাকায় সংগঠিত হয়েছিল এ আন্দোলন। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নারী-পুরুষ-শিশুসহ অনেক মানুষকে প্রাণ দিতে হয়। পাকিস্তান আমলেও বেশ কিছুদিন এই আন্দোলন অব্যাহত থাকে।’
টঙ্ক আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সুসং-দুর্গাপুরের জমিদারের ভাগ্নে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কমরেড মণি সিংহ। টঙ্কো আন্দোলনে যে সকল লড়াকু বীর শহীদ হন, তাদের মধ্যে রাসমণি অন্যতম। তিনিই টঙ্কো আন্দোলনের প্রথম শহিদ।
তিনি টঙ্কো ও কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেত্রীও ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে জানার আগে টঙ্কো বিষয়টি পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন। টঙ্কো মানে কৃষকের ফসল ধান চাষ হোক বা না হোক কড়ার মতো ধান দিতে হবে।টঙ্কো জমির ওপর কৃষকদের কোনো স্বত্ব ছিল না।
তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে ময়মনসিংহ জেলার উত্তরে কলমাকান্দা, দূর্গাপুর, হালুয়াঘাট, নালিতাবাড়ি, শ্রীবর্দ্দি থানায় টঙ্কো প্রথা প্রচলিত ছিল। বিশেষ করে সুসং জমিদারি এলাকায় এর প্রচলন ছিল ব্যাপক। টঙ্ক প্রথা বিভিন্ন নামে ওই সময় পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন স্থানে প্রচলিত ছিল। যেমন চুক্তিবর্গা, ফুরণ প্রভৃতি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও প্রচলিত ছিল ওই প্রথার।
তবে সুসং জামিদারি এলাকায় যে টঙ্কো ব্যবস্থা ছিল তা ছিল খুবই কঠোর। সোয়া একর জমির জন্য বছরে ধান দিতে হতো সাত থেকে পনের মণ। অথচ ওই সময়ে জমির খাজনা ছিল সোয়া একরে দুই থেকে সাত টাকা মাত্র। তখনকার সময়ে ধানের দর ছিল প্রতিমণ সোয়া দুই টাকা। প্রতি সোয়া একরে বাড়তি খাজনা দিতে হতো এগার থেকে প্রায় সতের টাকা। এই প্রথা শুধু জমিদারদের ছিল তা নয়। মধ্যবিত্ত ও মহাজনরাও টঙ্ক প্রথায় লাভবান হতেন।
একমাত্র সুসং জমিদাররাই টঙ্ক প্রথায় দুই লক্ষ মণ ধান আদায় করতেন, যা ছিল এক জঘন্যতম সামন্ততান্ত্রিক শোষণ। কমরেড মণি সিংহ তাঁর জীবন সংগ্রাম গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন এই আন্দোলনের ইতিহাস। সুসং জমিদারেরা গারো পাহাড়ের অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে এই প্রথা প্রবর্তন করেন। জোতস্বত্ব জমির বন্দোবস্ত নিতে হলে প্রতি সোয়া একরে একশ টাকা থেকে দুইশ টাকা নাজরানা দিতে হতো। গরিব কৃষক ওই নাজরানার টাকা সংগ্রহ করতে সমর্থ ছিলেন না।
কিন্তু টঙ্ক প্রথায় কোনো নাজরানা লাগতনা। ফলে কৃষকের পক্ষে টঙ্কো নেওয়াই ছিল অধিক সুবিধাজনক। প্রথম দিকে টঙ্কের হার এত বেশি ছিল না। কৃষকরা প্রথম যখন টঙ্ক জমি নেওয়ার জন্য এগিয়ে এলেন, তখন প্রতি বছর ওই সব জমির হার নিলামে ডাক হতো।
আর এভাবে হার ক্রমেই বেড়ে যেতে থাকে। যে কৃষক বেশি ধান দিতে সম্মতিছিলেন, তাদেরই অর্থাৎ আগের থেকে বেশি ডাককারীর নিকট কৃষকের জমি ছাড়িয়ে নিয়ে হস্তান্তর করা হতো। এইভাবে নিলামে ডাক বেড়ে গিয়ে ১৯৩৭ সাল থেকে টঙ্ক হার সোয়া একরে পনের মণ পর্যন্ত উঠে যায়।
মণি সিংহের মনে প্রথম ভাবনা আসে টঙ্কের কঠোর নির্যাতন থেকে কৃষকদের বাঁচানোর। কৃষকদের প্রতি তার ছিল প্রবল বিশ্বাস। ১৯৩৭ সালের নভেম্বর মাসের শেষ দিকের কথা। মণি সিংহ দশাল গ্রামে উপস্থিত হয়ে কৃষদের জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের প্রস্তাব করেন। কৃষকরাও রাজি হয়ে যায়। সবার উদ্দেশ্যে মণি সিংহ বলেন, কৃষকদের এক করো। ধান কেউ এক ছটাকও জমিদারদের দেবে না। বলবে জোতস্বত্বের নিরিখে খাজনা দেব। জমিদারদের পেয়াদা বরকন্দাজ জড়ো হলেও সকল গ্রামের সব লোক একত্রে তাদের মোকাবিলা করবে।
এদিকে ব্রিটিশ সরকার দেখল এই অঞ্চলে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ক্রমেই দানা বাঁধছে। তারা সতর্ক হলেন। অতঃপর গারো পাহাড়ের পাদদেশে তাদের চৌকি আজকের ৫টি থানা কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, হালুয়াঘাট, নালিতাবাড়ি ও শ্রীবর্দ্দিতে ফসল উৎপাদনের হিসাব জরিপ করে সেখানে টঙ্কের হার বেশিরভাগ জায়গায় অর্ধেকে নামিয়ে আনেন। বছরে যে টঙ্কো খাজনা ছিল তার সমপরিমাণ বেশির পক্ষে ৮কিস্তিতে তা পরিশোধ করে দিলে জমির স্বত্ব তার হয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এইভাবে টঙ্ক প্রথার কিছু সংশোধন আনা হয় ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু তা সম্পূর্ণ বিলোপ করা হয় না। ১৯৪৬-৫০ সাল এ এলাকার নৃ-তাত্বিক হাজং সম্প্রদায়ের কৃষক দ্বারা পরিচালিত আন্দোলনের শাহীন খন্দকারের পূর্বে চারণ সাংবাদিক মোনাজাত হোসেন ও দৈনিক সংবাদে লিখেছেন। অন্যদের সর্ম্পকে লেখকের জানা নেই। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কুমুদীনি হাজংকে নিয়ে অনেকেই লিখেছেন এবং লিখছেন।
পাহাড়ি এঅঞ্চলে আরো জনশ্রুতি রয়েছে, সুসংয়ের জমিদার গভীর অরণ্যে থেকে হাতি ধরার কাজেও হাজংদের নিয়োজিত করতেন। হাতি শিকার করে জমিদার বাড়ীর পশুশালায় হাতি সংরক্ষণ করা হতো এবং বৃটিশ সরকারকে উপহার দিতেন সুসংয়ের জমিদার। গভীর অরণ্যে হাতি ধরতে গিয়ে শতশত হাজং সম্প্রদায়ের মানুষকে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে জীবন দিতে হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই মহীয়সি নারীকে সমাজসেবায় অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দিয়েছে বাংলা একাডেমি। এ ছাড়া তিনি অনন্যা শীর্ষদশ (২০০৩), ড. আহমদ শরীফ স্মারক (২০০৫), কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি পদক (২০০৭), সিধু-কানহু-ফুলমণি পদক (২০১০), জলসিঁড়ি (২০১৪) ও হাজং জাতীয় পুরস্কার (২০১৮) পেয়েছেন।
কুমুদীনি হাজংয়ের ছেলে অর্জুন বলেন, ‘আমার মা বৃটিশ বিরোধী টঙ্কো আন্দোলনে কমরেড মনিসিংহের নেতৃত্বে যোগ দিয়ে ছিলেন বলেই আমার মতো হতো দরিদ্রদের সরকার ঘর দিয়েছেন, সরকারী অনুদান পাচ্ছি। শুধু তাই নয় অনেক জ্ঞানীগুণীদের পদোধুলি পড়ে এই টিলার বাড়িতে। এতে আমরা ভীষণ খুশি ভাই-বোনেরা।’
তিনি বলেন, ‘মায়ের বয়স শত ছাড়িয়েছে, যদিও ভোটর আইডিকার্ডে তার বয়স সঠিক না। আর বাবা লঙ্কেশ^র আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন ২০০০ সালে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, তারা তিন ভাই, দুই বোন। বড় ভাই লমিন হাজং থাকেন কুল্লাগড়া ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে।ছোট ভাই সহদেব হাজং মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতের তোড়াতে স্থায়ীভাবে সববাস করছেন। বোন মেনজুলি হাজং মানিকগঞ্জে ও ছোট বোন অঞ্জুলী হাজং থাকেন ঢাকায়। খুশি কবীর ম্যাডামের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে সে।’
দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজীব-উল-আহসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কতৃক সকল অনুদান প্রতিমাসে মহীয়সি কুমুদীনি হাজংয়ের বাড়িতে উপজেলা পিআইওর মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ পরীক্ষাসহ যদি ঔষধের প্রয়োজন হয় দিয়ে থাকেন।’
ইউ