বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর দেশের তিনটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেক বানু স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বরাবর শিক্ষিকার আবেদন ও ১৫ জুন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের খবরের বরাতে জানা গেছে, ২০২১ সালে ২৬ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক একই বিভাগের নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।
গত ৩০ মে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত ও গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, রাজধানীর শ্যামলীতে আশা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অফিসের এমএলএস আমিনুল ইসলামের সহযোগিতায় রেজিস্ট্রার আশরাফুল হক চৌধুরী কর্তৃক ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে।
৩০ জুন বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী কর্তৃক শ্রেণীকক্ষে শিক্ষিকাকে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ ক্লাসে প্রবেশ করে শিক্ষিকাকে হয়রানিমূলক ও মানহানিকর কথাবার্তা বলেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফেসবুকে তিনি বিভিন্ন আপত্তিকর কথাবার্তা লিখতেন।
রবিবার মহিলা পরিষদের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. দিল আফরোজা বেগমের কাছে এসব অভিযোগ প্রকাশ করে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন এবং সাইবার অপরাধের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিকারের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
ভুক্তভোগী নারী শিক্ষক ও ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নির্যাতনমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে, ছাত্রীদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে, ওইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বিশেষ উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. দিল আফরোজা বেগম এসব ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও মনিটরিং এর আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে পরিবার হতে নৈতিক শিক্ষা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মহিলা পরিষদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম ও অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক খুরশিদা ইমাম, পরিচালক লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি এন্ড লবি (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাড. দীপ্তি সিকদার এবং সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. রাম লাল রাহা।
ইউ